ছবি: জয়ন্ত দাস
ধীমান রায়, কাটোয়া: নিরীহ একটি পতঙ্গ। কিন্তু ভয় পান অনেকেই। শেষ কিনা আরশোলার ভয়ে পালাতে গিয়ে বেঘোরে প্রাণ গেল এক কিশোরীর! মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের গুসকরায়। এলাকায় শোকের ছায়া।
[গেম খেলতে বাধা বাবার, হাতের শিরা কেটে আশঙ্কাজনক মোমোয় আসক্ত কিশোরী]
পড়াশোনায় তেমন ভাল ছিল না গুসকরা বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী শিল্পা সাউ। এবছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছিল সে। কিন্তু, মিশুকে স্বভাবের জন্য পাড়া-প্রতিবেশীদের প্রিয়পাত্রী ছিল শিল্পা। গুসকরা শহরের আনন্দবাজার পাড়ায় একতলা মাটির বাড়িতে দুটি ঘর। বাবা কালীচরণ সাউ পেশায় ব্যবসায়ী। মা রিঙ্কু সাউ গৃহবধূ। এক ভাই-এক বোন। শিল্পাই বড়। তাঁর ভাই রোহন অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। বৃহস্পতিবার রাতে ঘরে একাই ছিল শিল্পা। পাশের ঘরে শুয়েছিলেন তাঁর বাবা-মা ও ভাই। ওই কিশোরীর বাবা কালীচরণ সাউ জানিয়েছেন, রাতে বিছানায় একটি আরশোলা উঠেছিল। তাই দেখে পালাতে গিয়ে স্ট্যান্ড ফ্যানের তার পায়ে জড়িয়ে মাটিতে পড়ে যায় শিল্পা। তার বুকের উপর পড়ে যায় পাখাটি। মেয়েকে ওই অবস্থায় দেখে তড়িঘড়ি ফ্যানের সুইচটি বন্ধ করে দিয়েছিলেন কালীচরণবাবু। শিল্পাকে নিয়ে যাওয়া হয় গুসকরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। কিন্তু, শেষরক্ষা হয়নি। কিছুক্ষণ পরেও মারা যায় ওই কিশোরী। জানা গিয়েছে, যান্ত্রিক ক্রুটির কারণে স্ট্যান্ড ফ্যানটি বাইরে অংশেও বিদ্যুৎ ছিল। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছে শিল্পা সাউ।
হাসিখুশি স্বভাবের শিল্পা সাউয়ের এমন পরিণতিতে এলাকায় শোকের ছায়া। একমাত্র মেয়ের মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না বাবা-মা। শিল্পার মা রিঙ্কু সাউ বলেন, ‘ছোট থেকে আরশোলাকে খুব পেত আমার মেয়ে। কিন্তু আরশোলার কারণে যে মারা যাবে, ভাবতেই পারিনি।’ রাতে গুসকরা শ্মশানে শেষকৃত্য হয় ওই কিশোরীর।
[ বন্যা থেকে বাঁচতে অভিনব উদ্যোগ, জ্যাকের সাহায্যেই উঁচু হল দোতলা বাড়ি]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.