ছবি: প্রতীকী।
শ্রীকান্ত পাত্র, ঘাটাল: শ্বশুরের সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ, শেষপর্যন্ত গুলি চলল। পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনায় গুলিবিদ্ধ সৌমিত্র রানা নামে এক যুবক। ঘটনা শনিবার রাতের। ঘাটালের জলসরা গ্রামের বাসিন্দা সৌমিত্র রানা এবং চন্দ্রকোনার মল্লেশ্বরপুরের বাসিন্দা বর্ষা রানা সম্পর্কে ভায়েরাভাই। শ্বশুরের সম্পত্তি দুই মেয়ে-জামাইয়ের মধ্যে ভাগ করে দেওয়ার কথা চলছিল দিন কয়েক ধরে। কে বেশি ভাগ নিতে পারেন, তা নিয়ে দুই জামাইয়ের বিবাদ চরমে পৌঁছয়। সম্প্রতি সৌমিত্র এবং বর্ষার মধ্যে কিছুটা বাকবিতণ্ডাও হয়। কিন্তু তার পরিণতি যে এমন হবে, তা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি।
শনিবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ জলসরা গ্রামের বওড়ার কাছে নিজের কারখানায় কাজ করছিলেন সৌমিত্র রানা। সেসময় বর্ষা রানা, তাঁর এক সঙ্গীকে নিয়ে সেখানে পৌঁছয়। ফের দু’জনের মধ্যে বচসা চলে। অভিযোগ, এরপর সৌমিত্রকে মারধর শুরু করেন বর্ষা রানা। পরিস্থিতি কিছুটা উত্তপ্ত হয়ে উঠলে, সৌমিত্রকে গুলি করে পালিয়ে যায় বর্ষা এবং তার সঙ্গী। সৌমিত্রের পাঁজরে লাগে গুলি। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখান থেকে ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। আপাতত সংকটমুক্ত সৌমিত্র রানা। অভিযুক্ত বর্ষা রানা এবং সঙ্গীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
[প্রতিটি বাড়িতেই ঢুকে পড়ছে বিষধর সাপ! আতঙ্ক মালদহে]
এদিকে সম্পত্তি নিয়ে বিবাদে গুলি চালনার ঘটনায় আতঙ্কিত সৌমিত্রের পরিবার। সৌমিত্রের স্ত্রী এবং বর্ষার স্ত্রী সম্পর্কে বোন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দুই বোন সম্পর্কে যে খুব টানাপোড়েন ছিল, তা নয়। বরং সদ্ভাবই ছিল। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির সম্পত্তি ভাগাভাগি বিষয়টি উঠতেই দুই ভায়েরাভাইয়ের সম্পর্কে কিছুটা অবনতি হয়। পরিবারের দাবি, আততায়ীকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক। কোনও আত্মীয়ও যদি দোষী সাব্যস্ত হন, তাকেও কোনওভাবে ছেড়ে দেবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়েছে সৌমিত্রর পরিবার। ঘটনার তদন্তে নেমেছে চন্দ্রকোনা টাউন থানার পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.