অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় ধুন্ধুমার কাণ্ড হাওড়ার আন্দুলে। কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে স্কুলে তুমুল বিক্ষোভ অভিভাবকদের। বেশ কিছুক্ষণ অবরোধ চলে হাওড়া-আন্দুল রোডে। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে, এলাকায় ব়্যাফ নামাতে হয়।
মৃত ছাত্রের নাম সোহম মাইতি। বাড়ি আন্দুলেরই পোদরায়। এলাকার একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ত সোহম। পরিবারের লোকের দাবি, গত শুক্রবার স্কুলে ক্লাস চলাকালীন তার ঘাড়ে পেন দিয়ে আঘাত করে সোহমের এক সহপাঠী। ঘটনায় গুরুতর আহত হয় তৃতীয় শ্রেণির ওই পড়ুয়া। বাড়ির লোককে খবর না দিয়ে সোহমকে হাওড়ার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করে দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুল ছুটির পর ঘটনাটি জানতে পারেন বাড়ির লোকেরা। সেদিন রাতেই ওই পড়ুয়াকে কলকাতার পার্ক সার্কাস এলাকার একটি নার্সিংহোমে ভরতি করা হয় বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। শনিবার সকালে মারা যায় সোহম মাইতি।
আন্দুলের ওই বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পঠনপাঠন চলে। পড়ুয়ার সংখ্যা চারশোর কাছাকাছি। স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফলতির অভিযোগে মঙ্গলবার সকাল থেকে স্কুলের চত্বরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন মৃত সোহম মাইতির পরিবারের লোক ও অন্য অভিভাবকরা। তাঁদের অভিযোগ, স্কুলে পড়ুয়াদের উপর নজরদারি কোনও ব্যবস্থা নেই। নিজেদের গাফিলতি ঢাকতেই সোহমের অসুস্থতার কথা গোপন করে গিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। সময়মতো বাড়িতে খবর দিলে এমন ঘটনা ঘটত না। শুধু তাই নয়, ঘটনার সময়ে সিসিটিভি ফুটেজ দেখানোরও দাবি তোলেন মৃতের পরিবারের লোকেরা। অবরোধ করা হয় স্কুল লাগোয়া হাওড়া-আন্দুল রোডেও।
এদিকে ছাত্রমৃত্যুতে গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। তাদের পালটা দাবি, সোহম শারীরিকভাবে খুব একটা সুস্থ ছিল না। শুক্রবার স্কুলে ষষ্ঠ পিরিয়ড চলাকালীন যখন সে অসুস্থ হয়ে পড়ে, তখন ফোনে বাড়ির লোকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু ফোনে কাউকে পাওয়া যায়নি। ফলে বাধ্য হয়েই ওই পড়ুয়াদের নার্সিংহোমে ভরতি করে দেওয়া হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.