ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, বারাসত: টিউশন ফি ব্যতীত অন্য কোনও ফি নেওয়া যাবে না। স্কুল স্যানিটাইজেশনের নাম করে এবং অন্যান্য অজুহাতে ফি দেওয়ার চাপ মেনে নেওয়া হবে না। মধ্যগ্রামের এক বেসরকারি ইংরাজি মাধ্যম স্কুলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে গর্জে উঠে নজিরবিহীন ‘তাণ্ডব’ চালালেন অভিভাবকরা। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনা নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, কোনও বাড়তি ফি চাওয়া হয়নি। হাই কোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ মেনেই টাকা নেওয়া হচ্ছে।
লকডাউনের পর থেকেই মধ্যমগ্রামের দোলতলার মোড়ের এই বেসরকারি ইংরাজি মাধ্যম স্কুলের বিরুদ্ধে অভিভাবকদের অভিযোগ যে টিউশন ফি বাদ দিয়েও ল্যাব ফি, স্কুল স্যানিটাইজেশনের নামে বাড়তি টাকা নেওয়া হচ্ছে স্কুলের তরফে। এ নিয়ে আগে তিনবার এর প্রতিবাদে স্কুলের সামনে রাস্তা অবরোধ করেছেন অভিভাবকরা। পুলিশের হস্তক্ষেপে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবকরা বৈঠকে বসে ফি-এর অঙ্ক ঠিক করা হয়। সমস্যা মেটাতে এই বৈঠকে মধ্যস্থতা করেন মধ্যমগ্রামের বিধায়ক রথীন ঘোষও। কিন্তু অভিভাবকদের অভিযোগ, এসবই প্রশাসনের চোখে ধুলো দেওয়া মাত্র। পরে ফের অভিভাবকদের থেকে বাড়তি টাকা চাওয়া হয়।
এরই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার স্কুলের সামনে ফের বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা। স্কুলের দেওয়ালে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে পোস্টার দেন তাঁরা। ঢিল, ইট ছোঁড়া হয় স্কুলের দেওয়ালে। ইট মেরেই ভেঙে দেওয়া হয় স্কুলের গেট। ভাঙে সিসিটিভিও। ভিতরে ঢুকে কার্যত নজিরবিহীন তাণ্ডব দেখান তাঁরা। অধ্যক্ষের নামে স্লোগান তুলতে থাকেন। পরিস্থিতি অত্যন্ত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। আশেপাশের মানুষ অভিভাবকদের এমন রুদ্র মূর্তি দেখে কার্যত হতবাক হয়ে যান।
খবর পেয়ে মধ্যমগ্রাম থানা থেকে বিশাল পুলিশবাহিনী সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা সেই একই বক্তব্যে অনড়। তাদের দাবি, কোনও বাড়তি ফি নেওয়া হচ্ছে না। হাই কোর্টের নির্দেশমতো ফি মিটিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে অভিভাবকদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.