সম্যক খান, মেদিনীপুর: ছয় মাস আগেই রেজিস্ট্রি পর্ব সম্পন্ন হয়ে গিয়েছিল। বাকি ছিল আনুষ্ঠানিক বিয়ে। মেদিনীপুরে বিয়ের আসরও বসেছিল৷ একটি লজে বিয়ের জন্য তৈরি হয়েছিল ছাদনাতলা। সেজেগুজে তৈরি ছিলেন কনেও। সন্ধ্যা থেকেই শুরু হয়েছিল অতিথিদের আনাগোনা৷ কিন্তু সব আয়োজন হলেও বর বাবাজির আর দেখা নেই৷ তখনও তো কনের বাড়ির কেউ জানতেনই না, বরসাজের আগেই সবার চোখে ধুলো দিয়ে উধাও হয়ে গিয়েছে সে। রাতভর খোঁজাখুঁজি চলল। কিন্তু, শেষপর্যন্ত মেলেনি বরের সন্ধান৷ শেষমেশ তড়িঘড়ি অপর এক পাত্রকে ধরে বিয়ে দিয়ে মান বাঁচানো হল পাত্রীর। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে মেদিনীপুর শহরে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পাত্রীর বাড়ি মেদিনীপুর শহরের কোতয়ালী বাজারে। কোতয়ালী থানার প্রায় গা ঘেঁষা বাড়ি তাঁদের। পাত্রীর বাবা নিজেই আবার একজন অবসরপ্রাপ্ত হোমগার্ড। অশোকনগরের এক যুবক সঞ্জয় রায়ের সঙ্গে পাত্রীটির প্রায় ছয় মাস আগেই রেজিস্ট্রি ম্যারেজ হয়ে গিয়েছিল। পরে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ের আয়োজনও করা হয়। কিন্তু তার আগেই উধাও বর। পুলিশ জানিয়েছে, ওইদিন দুপুর পর্যন্তও দেখা গিয়েছে তাকে। কিন্তু তারপর থেকেই সে উধাও হয়ে যায়। পাত্রীর বাড়ির আত্মীয়স্বজনরা অনেক খুঁজেও তার সন্ধান পাননি।
[মর্মান্তিক! মায়ের কোল থেকে নিয়ে দুধের শিশুকে আছাড় যুবকের!]
জানা গিয়েছে, পাত্র সঞ্জয় রায় মেদিনীপুরের অশোকনগরে এক ভাড়াবাড়িতে থাকত। লোন এজেন্টের কাজ করত সে। জানা গিয়েছে, এদিন বিয়ের পিঁড়ি তৈরি থাকলেও পাত্র না আশায় হতাশ হয়ে পড়ে পাত্রীর পরিবার। কান্নাকাটি শুরু হয়ে যায় বিয়েবাড়িতে। ঘটনার আকস্মিকতায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। শেষমেশ আত্মীয়স্বজনদের চেষ্টায় কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অপর এক পাত্রের সন্ধান মেলে। মেদিনীপুর সদর ব্লকেরই কনকাবতী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার এক যুবক তাঁকে বিয়ে করতে এগিয়ে আসেন। রাজি হয়ে যায় নতুন পাত্রের পরিবারও। ভোরে চারহাত এক হয় তাঁদের। সম্পন্ন হয় বিয়ে। স্বস্তি ফিরে আসে পরিবারে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.