রাজা দাস, বালুরঘাট: কোনও পুজো পার্বণ নেই। তা সত্ত্বেও তীব্র দাবদাহের সুযোগে ডাবের দাম এক লাফে হল দ্বিগুণ। অভিযোগ, চাহিদা বাড়তেই ক্রেতাদের পকেট কাটতে নেমে পড়েছে বালুরঘাট শহরের এক শ্রেণীর ফল ব্যবসায়ী। ফলে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে নানা মহলে।
ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাব কাটতে না কাটতেই রাজ্যে শুরু হয়েছে ব্যাপক তাপপ্রবাহ। কয়েকদিন ধরেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে সর্বোচ্চ ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কর্মব্যস্ত দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সদর বালুরঘাট শহর-সহ আশপাশের এলাকায় খোলা হয়েছে জলছত্র। পাল্লা দিয়ে চাহিদা বেড়েছে ঠান্ডা পানীয়ের। যদিও শরীরের কথা মাথায় রেখে অন্যান্য ঠান্ডা পানীয়র তুলনায় ক্রেতারা চাইছেন ডাবের জল। অভিযোগ, সেই চাহিদার দিকে নজর রেখেই ডাবের দাম ব্যাপক হারে বাড়িয়ে দিয়েছে এক শ্রেণীর অসাধু ফল ব্যবসায়ী। দিন কয়েক আগেও একটি ডাবের দাম ২০-২৫ টাকার মধ্যে থাকলেও এখন ৪০ থেকে ৫০ টাকা নেওয়া হচ্ছে বলেই অভিযোগ।
এপ্রসঙ্গে বালুরঘাটের বাসিন্দা অর্ণব সরকার ও স্মৃতি রায় বলেন, “বাইরের প্যাকেট জাতীয় বা খোলা ঠান্ডা পানীয়তে ভেজালের রমরমা। আবার রাস্তায় বিক্রি হওয়া আখের রসও অস্বাস্থ্যকর। কেন না, বেশি রসের জন্য আখের বোঝা রাতভর নয়নজুলি, পুকুর বা কোনও জলাশয়ে চুবিয়ে রাখতে দেখা যায় ব্যবসায়ীদের। স্বাভাবিক ভাবেই নির্ভেজাল বলতে একমাত্র ডাবের জলই রয়েছে। ফলে স্বাস্থ্য সচেতন মানুষরা অন্য কিছুরই বদলে ডাবকে রাখেন পছন্দের তালিকায়। তাপপ্রবাহের বাড়বাড়ন্তে সেই সুযোগই নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। পাইকারি ১৫ টাকা দরে একটি ডাব কিনে দ্বিগুণ দামে বিক্রি করছেন।”
যদিও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বালুরঘাটের এক ফল ব্যবসায়ী বলেন, “আমরা ইচ্ছামতো দাম বাড়াইনি। গাছ থেকে পেড়ে এনে পাইকাররা আমাদের কাছে যেমন দাম নিচ্ছে আমরাও সেভাবে সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করছি। প্রতিটা ডাবে মাত্র ৫ টাকা লাভ রাখছি। সাধারণ ব্যবসায়ীরা নয়, পাইকাররাই দাম চড়িয়েছে ডাবের। তারই প্রভাব পড়ছে ক্রেতাদের উপর।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.