নন্দন দত্ত, সিউড়ি: নাতনিকে খুন করে নদীর বালিতে পুঁতে দেওয়ার অভিযোগ উঠল ঠাকুমার বিরুদ্ধে। সোমবার সন্ধ্যার দিকে গ্রামবাসীরাই সেই মৃতদেহ উদ্ধার করে। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পুলিশ এসে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের মুরারই থানার বান্ধাইপুর গ্রামে। মৃত নাতনির নাম মাসুদা খাতুন (৫)। অভিযোগ, সোমবার সকালে নাতনি মাসুদাকে নিয়ে বেরিয়ে যান ঠাকুমা রাবেয়া বিবি। দুপুরের দিকে তিনি একাই বাড়ি ফেরেন। নাতনির বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, নাতনিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি তাই একাই বাড়ি চলে এসেছেন। এরপর শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। বাড়ির লোকজন চিন্তায় পড়ে। খবর পেয়ে গ্রামবাসীরা ওই বাড়িতে ভিড় জমান। চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।
[ ম্যাসাঞ্জোরের অধিকার কার? বিতর্ক মেটাতে রাজ্য প্রশাসনের বৈঠক ]
তবে গোড়া থেকেই রাবেয়ার কথার মধ্যে অসঙ্গতি লক্ষ্য করেন স্থানীয়রা। সন্দেহের সূত্রপাত তখন থেকেই। নাতনি কেন হারিয়ে গেল, কীভাবেই বা হারিয়ে গেল, তা নিয়ে কোনও স্পষ্ট জবাব দিতে পারছিলেন না রাবেয়া বিবি। তখনই খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ এসে ফের রাবেয়াকে জেরা করতে শুরু করে। দুপুরে তাকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। সেখানেও চলে জিজ্ঞাসাবাদ।
এমন পরিস্থিতিতে হাত গুটিয়ে বসেছিল না গ্রামবাসীরা। এর মধ্যে তারাও মাসুদার খোঁজ শুরু করে। সন্ধ্যার দিকে সন্ধান পাওয়া যায় মাসুদার। গ্রামবাসীরা দেখে বাঁশলৈ নদীর বালির চড়ে আটকে রয়েছে মাসুদার দেহ। দেহ দেখে তারা অনুমান করে খুন করে পুঁতে রাখা হয়েছে তাকে। এনিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ফের খবর যায় পুলিশে। গ্রামবাসীরা মাসুদার বাড়িতেও চড়াও হয়। কিন্তু বাড়িতে তখন কেউ ছিল না। রাত্রে পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ তুলতে গেলে গ্রামবাসীরা পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে তার।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, রাবিয়া বিবিই তাঁর নাতনিতে খুন করে পুঁতে দিয়েছে। কিন্তু এখনও কোনও প্রমাণ তাদের হাতে আসেনি।
[ সভার আগের দিন ছিন্নভিন্ন অভিষেকের পোস্টার, অভিযোগের আঙুল বিজেপির দিকে ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.