পলাশ পাত্র, তেহট্ট: টাকার বিনিময়ে স্রেফ পানশালা নাচ-গান করানোই নয়, ভিনরাজ্যে ভাল দর পেলে বিক্রি করে দেওয়ারও পরিকল্পনা ছিল দাদু ও মাসির। নদিয়ার তেহট্ট থেকে দুই কিশোরী অপহরণ কাণ্ডের তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল পুলিশ।
একজন অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে, আর এক নবম শ্রেণির পড়ুয়া। বাড়ি, নদিয়ার তেহট্টে। গত ১৬ অগাস্ট স্কুলে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল দুই কিশোরী। কিন্তু আর বাড়ি ফেরেনি তারা। বিস্তর খোঁজাখুঁজি করেও ওই দুই কিশোরীর সন্ধান পাননি পরিবারের লোকেরা। অপহরণের অভিযোগ দায়ের করা হয় তেহট্ট থানায়। শেষপর্যন্ত মোবাইলের টাওয়ার লোকেশনের সূত্র ধরে বিহারের মাঝুরিয়া এলাকা থেকে ওই দুই কিশোরীকে উদ্ধার করে তেহট্ট থানার পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করা হয় পূজা মণ্ডল নামে এক মহিলাকে। এদিকে তেহট্ট থেকে অনিমা সরদার ও রঞ্জিত মণ্ডল নামে আরও দু’জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, বছর ছাব্বিশের পূজা সম্পর্কে অপহৃত এক কিশোরীর মাসি। বিহারের রোহিত পাসোয়ান নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে হয়েছে তার। ঘটনার দিন কয়েক আগে তেহট্টের দেবনাথপুরে বাপের বাড়িতে এসেছিল পুজা। পুলিশের বক্তব্য, দুই বোনঝিকে পানশালা নেচে টাকা উপার্জনের লোভ দেখিয়ে বিহারে নিয়ে গিয়েছিল সে। পুজাকে মদত দিয়েছে অপহৃত এক কিশোরীর দাদু রঞ্জিত মণ্ডলও। দুই কিশোরীকে যেদিন উদ্ধার করা হয়, সেদিন তেহট্ট থেকে রঞ্জিতকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধরা পড়েছে অনিমা সরদার নামে আরও এক মহিলা। পুজাকে ইতিমধ্যেই ট্রানজিট রিমান্ডে বিহার থেকে তেহট্ট নিয়ে এসেছে পুলিশ। পুলিশ ধৃতদের জবানবন্দিও রেকর্ড করে ফেলেছেন বলে জানা গিয়েছে।
এ রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে কাজ ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ভিন রাজ্যে পাচার করে দেওয়ার ঘটনা নতুন নয়। কিন্তু এক্ষেত্রে কিশোরীদের অপহরণের ঘটনায় আত্মীয়দেরও জড়িত থাকার ঘটনায় উদ্বেগ বেড়েছে প্রশাসনের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.