বিজেপির হুঙ্কারের পালটা নিজেদের শান্ত রেখেই মৌখিক আক্রমণের পথে তৃণমূল।
ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: বুধবার বহু প্রতিক্ষিত রাম মন্দিরের (Ram Temple) ভূমিপুজো। এদিকে, বুধবার রাজ্যজুড়ে লকডাউন (Lockdown) ঘোষণা করা হয়েছে। আর এই নিয়েই এবার বাকযুদ্ধ শুরু হয়ে গেল তৃণমূল–বিজেপির। একদিকে, বিজেপি নেতাদের হুঙ্কার, লকডাউন থাকলেও পথে তাঁরা নামবেন। অন্যদিকে, তৃণমূলের স্পষ্ট বক্তব্য, লকডাউন ভেঙে বিজেপি পথে নামলে প্রশাসনই ব্যবস্থা নেবে। কার্যত বিজেপির হুঙ্কারের পাল্টা নিজেদের শান্ত রেখেই মৌখিক আক্রমণের পথে তৃণমূল।
বুধবার থেকে চলতি মাসের লকডাউন পর্ব শুরু। এদিকে, লকডাউনের আওতা থেকে ৫ আগস্ট দিনটিকে সরিয়ে রাখতে নবান্নের কাছে আবেদন জানিয়েছিল বিজেপি। তবে সরকার তাতে কর্ণপাত করেনি। আর এরপরই সরকারকে হুঙ্কার দিতে শুরু করেছে বঙ্গ বিজেপির নেতারা। মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনায় বারাকপুরের পলতায় সাংসদ অর্জুন সিংয়ের (Arjun Singh) সঙ্গে এক চা চক্রে যোগ দিয়ে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) হুঙ্কার দিয়েছেন, পথে তারা নামবেনই। বাধা পেলে বিরোধ হবে। এই সংঘর্ষের কথা বলেই দিলীপবাবু বলেন, “রাম সে জো টাকরায়েগা চুর চুর হো জায়েগা।” সেই সঙ্গে যোগ করেন, “শাসকদল সব কিছুতেই রাজনীতি করছে। তোষণের রাজনীতি। পরিকল্পনা করে হিন্দু সমাজকে রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার দিন উদযাপন করতে দেওয়া হচ্ছে না।” রাজ্যের লকডাউন প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, “বিষয়টি সম্পূর্ণ দিশাহীন, উদ্দেশ্যহীন। সেই কারণেই বারবার দিন বদল হচ্ছে।” এরপরই দৃপ্ত কন্ঠে রাজ্য সভাপতি বলেন, “ব্রিটিশ, মোঘল আমলেও রাম নবমী পালন করেছি, লকডাউনেও করব। কেউ আটকাতে পারবে না।”
যদিও পালটা হুমকি দিয়েছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। বলেছেন, “ওরা জনপ্রতিনিধি হওয়ার যোগ্য নয়। ২০২১–এর মে মাসে ওঁকে চিলেকোঠার ছাদে তুলে দিয়ে আসব আমরা।” সাংসদ অর্জুন সিংকেও খোঁচা দিয়েছেন মন্ত্রী। বলেছেন, “কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) তো তাঁর সঙ্গে দেখা করে যাওয়া সকলকে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলেছেন। অর্জুন তো তাঁর সঙ্গে দেখা করে এসে বারাকপুরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এবার কী হবে?”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.