কয়েক দশক ধরে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা বেহাল। নিজস্ব চিত্র।
জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: কয়েক দশক ধরে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা বেহাল। আর তাই এলাকার ছেলেমেয়েদের বিয়ে দিতেও সমস্যা হত, এমন অভিযোগ জানিয়ে গ্রামে আসা ‘দিদির দূতে’র সামনে বিক্ষোভ করেছিলেন গ্রামের মহিলারা। বিধায়কের প্রতিশ্রুতি মতো শনিবার গ্রামের বেহাল রাস্তা সংস্কার শুরু হতেই গ্রামজুড়ে যেন উৎসবের পরিবেশ। বাগদার কনিয়াড়া ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বালাপাড়া গ্রামের ঘটনা। ‘এবার গ্রামের ছেলেমেয়েদের বিয়ে হবে, যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাব আমরা’, জানালেন গ্রামের মহিলারা।
দুপুরে গ্রামের কয়েকশো পুরুষ-মহিলার উপস্থিতিতে নারকেল ফাটিয়ে ফিতে কেটে রাস্তা সংস্কারের সূচনা করেন বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। গ্রামের মহিলারা বলেন, “কয়েক দশক ধরে রাস্তায় এতটাই খারাপ যে ছেলে কিংবা মেয়ের বিয়ের জন্য পাত্রীপক্ষ গ্রামে এলে রাস্তার পরিস্থিতির জন্য চলে যেতেন। রাস্তা দিয়ে অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে যাওয়া যেত না। বর্ষা হলে ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যেত। কিন্তু এবার আর এমন ঘটনা ঘটবে না।”
গত বছর ‘দিদির দূত’ কর্মসূচিতে বাগদার কনিয়াড়া ১ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়েছিলেন বাগদার বিধায়ক তথা তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস। বালাপাড়া গ্রামে গিয়ে বেহাল রাস্তা নিয়ে বাসিন্দাদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় বিশ্বজিৎবাবুকে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ ছিল, রাস্তার জন্য এলাকার ছেলেমেয়েদের বিয়ে হচ্ছে না। কয়েক দশক ধরে এই বেহাল রাস্তার কারণে নারকীয় যন্ত্রণায় ভুগছিলেন। বিশ্বজিৎবাবু সে সময় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, রাস্তা করে দেওয়ার।
এদিন ওই এলাকায় গিয়ে রাস্তা শুরুর শিলান্যাস করেন বিশ্বজিৎবাবু। তিনি বলেন, “স্বাধীনতার পর থেকে রাস্তা বেহাল অবস্থায় ছিল। আমি নিজে গিয়ে রাস্তাটি দেখে এসেছি। মুখ্যমন্ত্রীকে জানানোর পর তিনি এই রাস্তার জন্য টাকা বরাদ্দ করেছেন। প্রায় ছয় কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার করার জন্য দুকোটি টাকার উপরে বরাদ্দ হয়েছে। আশা করি খুব দ্রুত কাজ শেষ হয়ে যাবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.