সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: সরকারি হোমে নাবালিকাদের যৌন হেনস্তার অভিযোগে আদালতে আত্মসমর্পণ করতে এসে শ্রীঘরে পুরুলিয়া শিশু সুরক্ষা আধিকারিক। পুরুলিয়ার জুভেনাইল হোমে লাগাতার যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল। সেই মামলায় হাই কোর্ট থেকে জামিন পেয়েছিলেন সমাজ কল্যাণ দপ্তরের আধিকারিক। পরে অবশ্য সুপ্রিম কোর্ট তাঁর জামিন খারিজ করে দেয়। এরপরই মঙ্গলবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আরজি জানান তিনি। কিন্তু সেই আরজি খারিজ করে দেন বিচারক। এবং অভিযুক্ত সরকারি আধিকারিককে গ্রেপ্তার করে জেলা পুলিশ।
পুরুলিয়া আনন্দমঠ জুভেনাইল হোমের নাবালিকাদের যৌন হেনস্তার অভিযোগ ওঠে। ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে হোমের বেশ কয়েকজন আবাসিক পুরুলিয়া জেলা আদালতে লিখিত অভিযোগ করেন। জানায়, হোম কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় বেশ কয়েকজন ফি সন্ধ্যায় হোমে এসে নাবালিকাদের যৌন নির্যাতন করে। সেই সময় এই ঘটনাকে ঘিরে তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। গ্রেপ্তারির দাবিতে পথে নামে বিজেপির জেলা মহিলা মোর্চা। অভিযোগ পাওয়ার পর পুরুলিয়া জেলা আদালতের এক বিচারক তদন্তে যান। জমা পড়ে রিপোর্ট।
এরপরই জেলা পুলিশ সুপারকে মামলা করার নির্দেশ দেওয়া হয়। পুরুলিয়া সদর মহিলা থানা মামলা দায়ের করে। হোমের সুপার ও জেলার সমাজ কল্যাণ দপ্তরের শিশু সুরক্ষা আধিকারিক-সহ দুই অপরিচিত ব্যক্তির নামে এফআইআর করা হয়। তারপর থেকেই অভিযুক্তরা বেপাত্তা ছিল। এদিকে শিশু সুরক্ষা আধিকারিক শিশির মাহাতো কলকাতা হাই কোর্ট থেকে আগাম জামিন পেয়েছিলেন। সুপ্রিম কোর্টে মামলার রিপোর্ট পড়তেই সরকারি আধিকারিকের আগাম জামিন বাতিল হয়।
এরপরই মঙ্গলবার জেলা আদালতে আত্মসমর্পণ করতে গিয়েছিলেন শিশির মাহাতো। আবেদন জানিয়েছিলেন আগাম জামিনের। কিন্তু সেই আরজি খারিজ হয়ে যায় এবং গ্রেপ্তার হন তিনি। তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়। পরবর্তী শুনানি ২৬ সেপ্টেম্বর। এদিন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হবে। প্রসঙ্গত, হোমের সুপার সৌমিলি দাস চলতি বছরের ৭ মে আদালতে আত্মসমর্পণ করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হন। আপাতত জেল হেফাজতে রয়েছেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.