Advertisement
Advertisement

এবার তারাপীঠ শ্মশানেও সাধুদের আধার, ভোটার কার্ড বাধ্যতামূলক

অপরাধীদের আত্মগোপন এড়াতে প্রশাসনের কৌশল।

Govt mulls Aadhar based entry for Sadhus at Tarapith
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:October 12, 2017 8:17 am
  • Updated:October 12, 2017 8:17 am  

নন্দন দত্ত, রামপুরহাট: দেশে আধার কার্ড বাধ্যতামূলক করার পথে এগোচ্ছে কেন্দ্র। এবার আধারের গণ্ডীতে পড়তে চলেছেন তারাপীঠের সাধুরা। সচিত্র পরিচয়পত্র জমা দিলে তবেই তারাপীঠের শ্মশানে থাকতে দেওয়া হবে সাধুদের। পরিচয়পত্র রাখতে হবে শ্মশান কমিটির কাছে। কালীপুজো থেকেই এমন বিধি চালু হচ্ছে তারাপীঠে। শ্মশানের আদি বাসিন্দাদের দাবি, তারা শ্মশান কমিটির কাছে সম্পূর্ণ পরিচয়পত্র জমা দিয়ে থাকার অনুমতি পেয়েছেন।

[তারাপীঠ মহাশ্মশানের পবিত্রতা নষ্টের অভিযোগ সাধুদের, প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি]

Advertisement

এলাকার বাসিন্দারা বলেন, তারাপীঠ মহাশ্মশান এখন অপরাধীদের আত্মগোপনের সেরা জায়গা। গত এক বছরে ওই এলাকা থেকে সাধুবেশে থাকা বেশ কয়েকজনকে ভিন জেলা থেকে ধরে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। গত সপ্তাহে হুগলির মগরার অশোক পাল তারাপীঠ থেকে ধরা পড়ে। অশোক বেশ কিছু দিন ধরে শ্মশানে সাধুর বেশে আত্মগোপন করে ছিল। অথচ সে নাবালিকাকে ধর্ষণে অভিযুক্ত। একইভাবে প্রতিবাদী ছাত্র সৌরভ চৌধুরি খুনে অন্যতম অভিযুক্তকে তারাপীঠ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। বোলপুরের শিক্ষিকা রেণুকা সরকার খুনে অভিযুক্ত মঙ্গল সাহানিও ধরা পড়েছিল এই তারাপীঠ এলাকা থেকে।

[বেগার খেটেই কালীপুজোয় ‘রাজঋণ’ শোধ করে মেটে সম্প্রদায়]

পুলিশের জালে এমন ছদ্মবেশীদের ধরা পড়তে দেখেছেন স্থানীয়রা। কারণ সাধনার নামে তারাপীঠের প্রায় অন্ধকার শ্মশান এলাকায় লাল কাপড়ের আড়ালে সহজেই আত্মগোপন করতে পারছে অপরাধীরা। এতে একদিকে যেমন প্রশাসনিক সমস্যা হচ্ছে, তেমন প্রকৃত সাধকদের অসুবিধা হচ্ছে। গত কুড়ি বছর ধরে তারাপীঠ শ্মশানে থাকা নবীনবাবা জানান, তারাপীঠে শ্মশান কমিটির কাছে পরিচয়পত্র জমা রেখে তবে ঘর পেয়েছেন। তবে এখন অসাধুতে শ্মশান চত্বর ভরে যাচ্ছে। পঁচিশ বছর তারাপীঠ শ্মশানে আছেন ধীরেন্দ্রনাথ গিরি। তাঁর মতে, এখন লাল কাপড় আর তারা তারা ধ্বনি তুলে শ্মশানে থাকলেই হল। প্রতিদিনই ভান্ডারা হচ্ছে। কেউ না কেউ খাবার দিচ্ছে। দিব্যি চলে যাচ্ছে। অসাধুদের রুখতে শ্মশান কমিটি সাধুদের পরিচয়পত্র দাবি করেছে। কালীপুজোয় সাধনার জন্য বহু সাধু তারাপীঠে আসেন। তখন থেকেই এই কাজ শুরু হবে। শ্মশান কমিটির সভাপতি সুকুমার মুখোপাধ্যায় বলেন,  ভোটার কার্ড, আধার সব কিছু জমা দিতে হবে। এমনকী যে এলাকার তিনি আদি বাসিন্দা, সেই এলাকার থানা থেকে লিখিয়ে  আনতে হবে। হয়তো এখনই সবাই তা জমা দিতে পারবেন না। তবে এই প্রক্রিয়া এবার শুরু হয়ে যাবে। শ্মশানবাসীরা পরিচয়পত্র জমা নেওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement