Advertisement
Advertisement

চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় ব্যবস্থা নিচ্ছে না পুলিশ, ক্ষোভপ্রকাশ স্বাস্থ্য আধিকারিকের

সরকারি হাসপাতালে আবারও হেনস্তার শিকার এক চিকিৎসক৷

Govt fails to provide security to doctors, says health dept babu
Published by: Sayani Sen
  • Posted:August 17, 2018 3:59 pm
  • Updated:August 17, 2018 3:59 pm  

রাজকুমার, আলিপুরদুয়ার: সরকারি হাসপাতালে আবারও হেনস্থার শিকার এক চিকিৎসক৷ দুর্ঘটনায় জখম রোগীর চিকিৎসা সময় মতো করা হয়নি, এই অভিযোগে আলিপুরদুয়ারের কালচিনি ব্লকের উত্তর লতাবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসককে৷ মাসখানেকের মধ্যে জেলায় পরপর দু’জন চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্তারা৷

[বাসি বিয়ের খাওয়া নিয়ে বচসা, গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী পাত্র]

বৃহস্পতিবার সন্ধেয় আলিপুরদুয়ারের কালচিনির উত্তর লতাবাড়িতে পথ দুর্ঘটনায় একজন জখম হন৷ তড়িঘড়ি স্থানীয় গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে৷ চিকিৎসকরাও তাঁর চিকিৎসা শুরু করেন৷ দুর্ঘটনাগ্রস্ত ওই  ব্যক্তির সঙ্গে আরও কয়েকজন মদ্যপ যুবকও ছিল৷ অভিযোগ, চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে উত্তর লতাবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিশাল ঘোষকে মারধর করে তারা৷ গুরুতর জখম হন ওই চিকিৎসক৷ তাঁর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক৷ এই ঘটনায় কালচিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷ তবে এখনও কাউকেই গ্রেপ্তার করা যায়নি৷

Advertisement
[ভুল ঘোষণার জেরে তুলকালাম টিটাগড় স্টেশনে, রেল অবরোধ বিক্ষুব্ধ যাত্রীদের]

উল্লেখ্য, প্রায় মাসখানেক আগে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে রোগীর পরিবারের হেনস্তার শিকার হন আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক ময়ূখ চক্রবর্তী৷ সেই ঘটনাতেও এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি৷ একের পর এক চিকিৎসকদের উপর হামলায় ঘটনায় চিন্তিত জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা৷ মাসখানেকের মধ্যেই দু’বার চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনায় বিরক্ত উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুবর্ণ গোস্বামী৷ বৃহস্পতিবারের ঘটনা নিয়ে নিজের ফেসবুক ওয়ালে একটি পোস্ট করেন তিনি৷ স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকের দাবি, আলিপুরদুয়ার জেলায় চিকিৎসকের তুলনায় রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি৷ জয়গাঁ প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও উত্তর লতাবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতাল এই দুটি মিলিয়ে মাত্র চারজন চিকিৎসক রয়েছেন ওই জেলায়৷ চুক্তির ভিত্তিতে মাসিক চল্লিশ হাজার টাকা বেতনে নিয়োগ করা হয় আরও দু’জন চিকিৎসককে৷ কম সংখ্যক চিকিৎসক দিয়েই কোনওক্রমে গ্রামীণ হাসপাতাল ও জয়গাঁও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ২৪ ঘণ্টা পরিষেবা চালু রেখেছে স্বাস্থ্য দপ্তর৷ ওই আধিকারিকের দাবি, এই ব্লক ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, এনসেফেলাইটিস ও মিজলসে্র আঁতুড়ঘর৷ সব সময়ই হাসপাতালে রোগীর লম্বা লাইন লেগেই থাকে৷ কম সংখ্যক চিকিৎসক থাকা সত্ত্বেও রোগীদের পরিষেবা দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা চিকিৎসকরা করেন বলেও দাবি তাঁর৷ এভাবে একের পর এক চিকিৎসক নিগ্রহ চলতে থাকলে, চিকিৎসকরা চাকরি ছাড়বেন বলেও ফেসবুক পোস্টে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন৷ পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও তুলেছেন স্বাস্থ্য দপ্তরের ওই আধিকারিক৷

[প্রাণঘাতী হামলা অতীত, মৃত্যুকে হার মানিয়ে ফের ডিউটিতে শ্যামপুর থানার ওসি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement