Advertisement
Advertisement

রাস্তা সংস্কারের জন্য কাটা পড়ল মৃণাল সেনের প্রিয় মানকরের তালগাছের সারি

মন খারাপ মানকারবাসীর৷

  Govt cut All the palm-trees on BUd Bud-Mankar road
Published by: Tanujit Das
  • Posted:February 17, 2019 7:20 pm
  • Updated:February 17, 2019 7:48 pm  

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: রাস্তার চারধারে এক পায়ে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছে সারিবদ্ধ তালগাছ৷ যা দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন বিখ্যাত চিত্র পরিচালক মৃণাল সেন৷ ১৯৬৯-তে দলবল নিয়ে তিনি পৌঁছে গিয়েছিলেন দুর্গাপুরের মানকরে৷ ১৯৭১-তে মুক্তি পেয়েছিল তাঁর কালজয়ী সিনেমা ‘বাইশে শ্রাবন’৷ কিন্তু সেসব আজ অতীত৷ সাদাকালো সিনেমার পর্দায় মানকর-বুদবুদ রোডের উপর যে তাল গাছগুলিকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল, তা আজ নেই৷ রাস্তা সম্প্রসারণ ও সংস্কারের জন্য সমস্ত গাছ কেটে ফেলেছে পূর্তদপ্তর৷ তাই মন খারাপ মানকরবাসীর৷

[লাভপুর কাণ্ডে নয়া মোড়, মেয়েকে অপহরণের গল্প ফেঁদে গ্রেপ্তার বিজেপি নেতা ]

Advertisement

জানা গিয়েছে, তাল গাছ কেটে ফেলার বিষয়টিকে মন থেকে মেনে নিতে পারেনি মানকরবাসী৷ বারবার তাঁদের মনকে খোঁচা দিচ্ছে একটা আবেগ৷ একটা প্রশ্ন৷ কোনও ভাবেই কী এই গাছগুলিকে রক্ষা করা যেত না৷ ‘বাইশে শ্রাবণ’ ছবির টাইটেল কার্ডে মানকরবাসীকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছিলেন মৃণাল সেন৷ এহেন গর্বের তাল গাছগুলিই কাটা পড়েছে রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য৷ তাই মন খারাপ তাঁদের৷ মানকর স্টেশনে থেকে শুরু হচ্ছে যে রাস্তা, তারই দু’ধারে সারিবদ্ধ ভাবে রয়েছে গাছগুলি৷ যা বারবারই চোখ টানত মানুষের৷ কিন্তু সেসব এখন ইতিহাস৷ জনবসতি বাড়তে থাকায় রাস্তার সম্প্রসারণ অনিবার্য হয়ে পড়েছিল৷ রাস্তা সংস্কার দীর্ঘদিনের দাবি ছিল স্থানীয়দেরও৷ সেই দাবি মেটাতেই কাটা পড়েছে গাছগুলি৷

[অদম্য জেদ, বাবার কাঁধে চেপেই মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে কালনার গৌরব]

সেই দিনকার স্মৃতি রোমন্থন করে গিয়ে বুদবুদ বনিকসভার সভাপতি রতন সাহা বলেন, ‘‘ওই রাস্তার দু’ধারে দাঁড়িয়ে থাকা তালগাছের সারি উপভোগ করতেই বহু মানুষ এখানে ভিড় জমাত৷ ওই তালগাছ থেকে উৎপাদিত সামগ্রী এবং এই গাছগুলি থেকে প্রাপ্ত ফল ভোগ করতেন এলাকার মানুষজন৷ বহু মানুষের জীবন জীবিকার অন্যতম সংস্থান ছিল এই কয়েকশো তালগাছ৷” একইভাবে স্মৃতির সরণিতে গা ভাসিয়েছেন মানকরের প্রবীন নাগরিক তথা কংগ্রেস নেতা জয় গোপাল দে-ও৷ তিনি বলেন, “রাস্তা যেমন জরুরী, তেমন মানকরের গর্ব এই তালগাছের সারিও থাকা প্রয়োজন৷ আমার আশা, প্রশাসন বনসৃজনের দিকটা ভেবে দেখবে৷” তবে একপ্রকার বাধ্য হয়েই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন গলসির পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি অনুপ চট্টোপাধ্যায়৷ তিনি বলেন, “তালগাছ কাটা না হলে কোনভাবেই রাস্তার সম্প্রসারণ করা যেত না৷’’ তবে এই সম্প্রসারণের কাজ শেষ হলেই পূর্ত দপ্তরের উদ্যোগে আবার হাজারটি গাছ লাগানো হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি৷

ছবি: উদয়ন গুহ রায়

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement