সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতীর সমাবর্তনের অনুষ্ঠান সেরে ফেরার পথে সিঙ্গুরে গেলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। সিঙ্গুরে বিডিও অফিসে যান তিনি। সূত্রের খবর, কাউকে কিছু না জানিয়ে প্রায় বিনা নোটিসেই ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসে যান রাজ্যপাল। তার ফলে প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা হয়নি তাঁর। তবে স্থানীয়দের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন রাজ্যপাল। আচমকা ধনকড়ের সিঙ্গুর সফরকে ভাল চোখে দেখছে না তৃণমূল। এর বিরোধিতায় সুর চড়িয়েছেন দলীয় নেতারা।
সোমবার রাজ্যপাল আসার কথা কথা জানতে পেরেই সিঙ্গুরের ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসের বাইরে বহু মানুষ ভিড় জমান। প্রশাসনিক আধিকারিকদের কাউকে না পেয়ে কিছুক্ষণের মধ্যে বিডিও অফিস থেকে বেরিয়ে আসেন জগদীপ ধনকড়। স্থানীয়রা সিঙ্গুরের জমি নিয়ে তাঁর দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন। উত্তরও দেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, “জমি আন্দোলনের জেরে সিঙ্গুর এখন বিখ্যাত। হুগলির এই গ্রামের কথা এখন প্রায় গোটা দেশ জানে। তাই তো এই গ্রামের খুঁটিনাটি আমি জানতে চাই। কিন্তু এমন কারও দেখা পেলাম না যিনি আমাকে সব কিছু বলতে পারেন। পরে একদিন এসে সব জেনে যাব।”
আচমকা কাউকে কিছু না জানিয়ে রাজ্যপালের সিঙ্গুরে আসাকে ভাল চোখে দেখছে না তৃণমূল। বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ধনকড়ের সফরের জোরালো সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন,”যা করা যায় না তাই করছেন রাজ্যপাল। এ ধরনের ঘটনা অনভিপ্রেত।” রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজ্য প্রশাসন এবং রাজ্যপালের সম্পর্ক যে কখন ভাল আর কখন খারাপ তা কার্যত বোঝা দায়। যাদবপুরে বাবুল সুপ্রিয়কে উদ্ধারের ঘটনাই হোক কিংবা পুজো কার্নিভাল বা আয়ুষ্মান ভারত একাধিক ইস্যুতে বারবার রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছেন রাজ্যপাল। সেই দ্বন্দ্বেই নবতম সংযোজন রাজ্যপালের আচমকা সিঙ্গুর সফর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.