সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রশাসনিক বৈঠক ঘিরে রাজ্যপাল-রাজ্য সংঘাত অব্যাহত। রাজ্যপালের ডাকা বৈঠকে গরহাজির সরকারি আধিকারিকরা। মঙ্গলবার একইদিন ধামাখালি ও সজনেখালিতে ভেস্তে গেল বৈঠক। আর তার জেরে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। সংবাদমাধ্যমের সামনে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তাঁর অভিযোগ, ‘রাজ্যপালকে ছোট করতেই আমলারা আসেননি। মুখ্যমন্ত্রী বা মন্ত্রীরা এলে তাঁরা আসেন।’ এরপরই কার্নিভাল নিয়েও আক্রমণ শানান রাজ্যপাল। বলেন, ‘সবাই জানে ১১ তারিখ চার ঘণ্টা ধরে কার পাবলিসিটি হয়েছিল।’
প্রসঙ্গত, প্রশাসনিক টানাপোড়েনের জেরে মঙ্গলবার ভেস্তে যায় ধামাখালিতে রাজ্যপালের বৈঠক। উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেন, রাজ্য প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া বৈঠকে কোনও সরকারি উচ্চপদস্থ আধিকারিককে ডাকা সম্ভব নয়। তিনি নিজেও অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে বৈঠকে অনুপস্থিত থাকেন। তাই রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চাইলেও জেলাশাসকের অনুমতি না মেলায় বাতিল হয়ে যায় ধামাখালির বৈঠক।
এর প্রেক্ষিতে ক্ষুব্ধ হন রাজ্যপাল। গোটা বিষয়টিকে সাংবিধানিক সংকট বলে আখ্যা দেন ধনকড়। ক্ষোভ উগরে তিনি বলেন, ‘রাজ্যপাল কি রাজ্যের অধীনস্থ? রাজ্যপাল কথা বলতে চাইলে রাজ্যের অনুমতি লাগবে কেন?’ এরপর ঘটনার নিন্দা করে তিনি বলেন, ‘রাজ্যপাল হিসাবে যেখানে খুশি যেতে পারি, কিন্তু যেখানেই যাচ্ছি সেখানেই জেলাশাসক অসুস্থ হচ্ছেন। মন্ত্রীদের বয়কটের সঙ্গে সরকারি আমলারাও যুক্ত হচ্ছেন কেন?’
উল্লেখ্য, তিনি জানান, গত ১৭ অক্টোবর তিনি প্রশাসনকে চিঠি দিয়ে বৈঠকের কথা জানান। কিন্তু ২১ তারিখ জেলাশাসক চিঠি দিয়ে জানান, শীর্ষ প্রশাসনিক আধিকারিকদের অনুমতি ব্যতীত আমলাদের আমন্ত্রণ অসম্ভব। যেহেতু মুখ্যমন্ত্রী সপার্ষদ উত্তরবঙ্গ সফরে রয়েছেন। তাই অনুমতি মেলেনি বৈঠকের। এতেই ক্ষুব্ধ হন রাজ্যপাল। তাঁর কটাক্ষ, ‘সরকার কি ছুটিতে চলে গিয়েছে? মুখ্যমন্ত্রী ছুটিতে যেতেই পারেন, কিন্তু সরকার ছুটিতে যেতে পারে না।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.