সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: বছরের শেষ রবিবার সকালে সস্ত্রীক গঙ্গাসাগরে হাজির হলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। সেখানে কপিল মুনির মন্দিরে পুজো দেন তিনি। এলাকার বাসিন্দা এবং পুণ্যার্থীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন রাজ্যপাল। সুত্রের খবর, রাতেই কলকাতা ফিরবেন তাঁরা।
রবিবার সকালে হলদিয়া থেকে হোভারক্রাফটে চড়ে সস্ত্রীক গঙ্গাসাগরে পৌঁছন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। সেখানে তাঁদের স্বাগত জানান কাকদ্বীপ মহকুমা প্রশাসনের আধিকারিক এবং সুন্দরবন জেলার পদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা। হোভারক্রাফট থেকে নেমে রাজ্যপাল এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন। কুশল বিনিময় করেন গঙ্গাসাগরে আসা তীর্থযাত্রীদের সঙ্গেও। এরপরই সোজা চলে যান কপিলমুনির মন্দিরের ভিতর। কপিল মুনির মন্দিরে প্রবেশের পর বেশ কিছুক্ষণ পুরোহিতদের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল। পুজোও দেন তাঁরা।
এদিন গঙ্গাসাগরে পৌঁছে রাজ্যপাল সাংবাদিকদের জানান, “কপিল মুনির নতুন মন্দির নির্মাণে রাজ্য সরকারের ব্যবস্থাপনায় তিনি অত্যন্ত খুশি। খুব ভাল ব্যবস্থা করা হয়েছে।” বরাবরই রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত প্রকাশ্যে এসেছে। রাজ্যের একাধিক পদক্ষেপে রাজ্যপালকে সরাসরি বিরোধিতা করতে দেখা গিয়েছে, সেখানে গঙ্গাসাগর ভ্রমণের পর রাজ্যপাল রাজ্য সরকারের প্রশংসা করতেই জল্পনা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে। প্রশাসন সূত্রে খবর, রবিবারই গঙ্গাসাগর থেকে সস্ত্রীক কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন রাজ্যপাল।
প্রসঙ্গত, কথায় আছে সব তীর্থ বারবার গঙ্গা সাগর একবার। এখন ইচ্ছা করলেই গঙ্গাসাগরে ডুব দিয়ে আসা সম্ভব হলেও বছরের এই বিশেষ সময়ে গঙ্গাসাগরে ভিড় জমান বহু মানুষ। কয়েক লক্ষ পুণ্যার্থী হাজির হন গঙ্গাসাগরে স্নান সারতে। এবছরও তাঁর অন্যথা হয়নি। ইতিমধ্যেই পুণ্যার্থীদের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে গঙ্গাসাগরে। সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের তরফে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যারা আসতে পারছেন না, তাঁরা যাতে বাড়িতে বসেই মেলায় কপিল মুনির মন্দিরের পুজো-আরতি এবং মেলা চত্বর দেখতে পারেন সেই ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.