ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: সমাবর্তনের অন্যতম প্রধান অতিথি হিসেবে একদিন আগেই পৌঁছে গিয়েছিলেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। সোমবার সকালে এখানকার সমাবর্তনে যোগ দিতে যাওয়ার পথে গাড়ি থেকে নেমে রীতিমতো জনসংযোগ করতে দেখা গেল রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে। ঠিক বিশ্বভারতীর গেট দিয়ে প্রবেশের পরই ছাত্রছাত্রীদের দেখে গাড়ি থামিয়ে নেমে পড়েন তিনি। তারপর ছাত্রীদের আবদার মিটিয়ে তাঁদের সঙ্গে সেলফি তোলেন, কথা বলেন। পাঠভবনের ছোট ছাত্ররাও রাজ্যপালের সঙ্গে ছবি তুলতে আগ্রহী হওয়ায়, তাদের অনুরোধও ফেরালেন না ধনকড়। রীতিমতো পোজ দিয়ে তুললেন ছবি। বোঝালেন, রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান বলে তিনি মোটেও রাজভবনের চার দেওয়ালে নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখেননি।
কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে প্রধান অতিথি রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। রবিবার তিনিও কপ্টারে পৌঁছে গিয়েছেন শান্তিনিকেতনে। পাশাপাশি ওই দিনই পৌঁছেছেন আরেক অতিথি রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। আর সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশে রওনা দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের কাছে পৌঁছে গেলেন। তাঁদের মাঝে দাঁড়িয়ে কথা বললেন, ছবি তুললেন। আরও কিছুটা এগিয়ে যাওয়ার পর ছোট ছাত্ররা তাঁকে ঘিরে ধরে। তাদের সঙ্গেও দিব্যি খোশমেজাজে ছবি তুললেন রাজ্যপাল। তারপর ঢুকে গেলেন মূল ভবনের দিকে, যেখানে সমাবর্তনের অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা।
রাজ্যের দায়িত্ব নিয়ে এখানে আসার পর থেকেই বিভিন্ন বিষয়ে রাজ্যপালের ভূমিকায় বেশ আলোচনা হয়েছে। কখনও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র বিক্ষোভে আটকে পড়া কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র পাশে দাঁড়াতে সেখানে চলে যাওয়া, কখনও আবার মুখ্যমন্ত্রীর মতো প্রশাসনিক বৈঠকে আয়োজন করা, আবার কখনও কালীপুজোয় মুখ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে তাঁর বাড়ি যাওয়া – অল্প সময়ের মধ্যে নানারকম কাজের জন্যই আলোচনার কেন্দ্রে থেকেছেন ধনকড়। সে রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতই হোক বা মুখ্যমন্ত্রীর অকুণ্ঠ প্রশংসা, নতুন রাজ্যপালের সক্রিয়তা বেশ নজর কেড়েছে। আজ বিশ্বভারতী প্রাঙ্গণে পা রেখেও তিনি যে ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন, তাতে মুগ্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া থেকে স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা। সমাবর্তনের দিন সকালেই নিজেকে সকলের মধ্যে এনে যেন জনপ্রিয়তাই খানিকটা কেড়ে নিলেন।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.