সুদীপ রায়চৌধুরি: ছাত্রছাত্রীদের সাইকেল, গতিধারা প্রকল্পে বেকারদের গাড়ি হয়েছে৷ এবার দোরে দোরে ঘুরে মাছ বিক্রির জন্য স্কুটার দিতে চাইছে রাজ্য সরকার৷
গত কয়েক বছর ধরে নিজস্ব ভেড়ি বা পুকুরে উৎপন্ন মাছ রেফ্রিজারেটরের গুণসম্পন্ন বিশেষ ভ্যানে করে কলকাতা-সহ বিভিন্ন মফস্বল শহরে নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় বিক্রি করে থাকে রাজ্য মৎস্য দফতর৷ এজন্য হায়দরাবাদের কেন্দ্রীয় মৎস্য উন্নয়ন নিগমের কাছ থেকে মোট ২০টি এমন ভ্যান পেয়েছে তারা৷ রাজ্যের চাহিদার তুলনায় মাত্র ২০টি গাড়ি বিন্দুতে সিন্ধু বললেও কম বলা হবে৷ ফলে রাজধানী কলকাতা ও জেলা শহরের এক শতাংশ এলাকাতেও পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব নয়৷ রাজ্যের মৎস্য মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা জানাচ্ছেন, “রাস্তায় নয়৷ আমরা চাইছি বাড়ি বাড়ি গিয়ে সস্তায় মাছ বিক্রি করতে৷ এজন্য হায়দরাবাদের কেন্দ্রীয় মৎস্য উন্নয়ন নিগমের কাছে ২০০টা স্কুটার চেয়ে প্রকল্প পাঠিয়েছি আমরা৷ প্রকল্প অনুযায়ী এই স্কুটার তুলে দেওয়া হবে স্থানীয় বেকার যুবকদের হাতে৷”
মৎস্যমন্ত্রীর কথায়, এই প্রকল্পের দু’টি দিক৷ এক, রাজ্যের বিভিন্ন মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির উৎপন্ন মাছ সস্তায় আমজনতার হাতে তুলে দেওয়া৷ দুই, বাড়ি বাড়ি মাছ বিক্রি প্রকল্পে স্থানীয় বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা৷
বাম বা ডান– রাজ্যের মসনদে যেই বসুক না কেন, বাঙালিকে মাছ-ভাতে রাখাটা সব সরকারেরই বড় মাথা ব্যথার কারণ৷ বাজারে মাছের আকাল দেখা দিলে ঘন ঘন বৈঠক শুরু হয় মন্ত্রী-শান্ত্রী-সচিব-আধিকারিকদের৷ তাই সংসদীয় রীতিতে মৎস্যমন্ত্রীর পদ ধারে ও ভারে প্রথম সারির না হলেও বঙ্গ রাজনীতিতে এই পদের গুরুত্ব অপরিসীম৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.