নন্দন দত্ত, সিউড়ি: ভোটের মরশুমে তৃণমূল কংগ্রেসের সভা যোগ দিয়ে বিপাকে পড়েছেন এক সরকারি আইনজীবী। তাঁকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। শোকজের জবাবও দিয়েছেন সরকারি আইনজীবী মলয় মুখোপাধ্যায়।
[ লিড দিলে ‘ইনাম’ ঘোষণা করে কমিশনের কোপে আসানসোলের মেয়র]
গত ১৭ মার্চ সরকারি আইনজীবী মলয় মুখোপাধ্যায়কে সিউড়ির রবীন্দ্র সদনে তৃণমূলের জেলা বৈঠকে দেখা গিয়েছিল। মঞ্চের দ্বিতীয় সারিতে তিনি বসেছিলেন। সেই সভায় আবার ওই সরকারি আইনজীবীকে জেলবন্দি দলের এক নেতার জামিনের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। অনুব্রতকে আগে শোকজ করেছে নির্বাচন কমিশন। বুধবার নোটিস পাঠানো হয় সরকারি আইনজীবী মলয় মুখোপাধ্যায়কেও। জানা গিয়েছে, আইনজীবী মলয় মুখোপাধ্যায়ের কাছে কমিশন জানতে চেয়েছে, কেন তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় সভায় হাজির ছিলেন? কেনই বা তাঁকে একজন রাজনৈতিক নেতা নির্দেশ দিলেন? এমনকী, সে মামলায় আসামিকে জামিনের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে, সেই মামলার সঙ্গে ওই সরকারি আইনজীবী কীভাবে যুক্ত, তাও জানতে চেয়েছে নির্বাচন কমিশন। শোকজের জবাবে আইনজীবী মলয় মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তিনি তৃণমূলের দলীয় সভায় হাজির ছিলেন না। আর যে মামলাটির কথা বলা হয়েছে, সেটি দুবরাজপুর আদালতে বিচারাধীন। তিনি ওই মামলার সঙ্গে যুক্ত নন। তাহলে অনুব্রত মণ্ডল কেন তাঁর নাম করে নির্দেশ দিলেন? সরকারি আইনজীবীর স্পষ্ট জবাব, সেটা অনুব্রত মণ্ডলই বলতে পারবেন। কারণ তৃণমূল কংগ্রেসে মলয় নামে আরও অনেক নেতা ও আইনজীবী রয়েছেন।
এদিকে আবার বুধবার বীরভূমের মহম্মদবাজারে গণপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিসে একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠকেও সরকারি আইনজীবী মলয় মুখোপাধ্যায় হাজির ছিলেন বলে খবর। তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরের খবর, সরকারি আইনজীবী হওয়ার আগেই দলের খয়রাশোল ব্লকের পর্যবেক্ষক ও বীরভূম জেলার সহ-সভাপতি ছিলেন মলয় মুখোপাধ্যায়। এখনও সহ-সভাপতি হিসেবে দলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেন ওই সরকারি আইনজীবী। ফলে মলয় মুখোপাধ্যায়ের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা।
ছবি: সুশান্ত পাল
[প্রচারেও ‘লাগল যে দোল’, আবিরে রাঙা হয়ে ভোট চাইলেন প্রার্থীরা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.