Advertisement
Advertisement

Breaking News

জিয়াগঞ্জ

জিয়াগঞ্জে সপরিবারে শিক্ষক খুনের ঘটনায় ঘনীভূত রহস্য, ফের প্রকাশ্যে রাজ্য-রাজ্যপাল তরজা

নিহত ওই শিক্ষক আরএসএস সমর্থক বলেই দাবি দিলীপ ঘোষের।

Governer Jagdip Dhankar slammed state police in Jiyagunj murder case
Published by: Sayani Sen
  • Posted:October 10, 2019 8:24 pm
  • Updated:October 12, 2019 8:34 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জিয়াগঞ্জের সন্তান-সহ দম্পতি খুনের ঘটনায় ফের প্রকাশ্যে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন ধনকড়। এত বড় কাণ্ড ঘটা সত্ত্বেও কেন নীরব প্রশাসন, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। এদিকে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের দাবি, আরএসএস কর্মী হওয়ায় চক্রান্ত করে সপরিবারে খুন করা হয়েছে ওই শিক্ষককে। যদিও রাজ্যপালের প্রতিক্রিয়ায় যথেষ্ট অসন্তুষ্ট রাজ্য প্রশাসন। অসাংবিধানিক কথা বলছেন রাজ্যপাল বলেই দাবি শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের।

[আরও পড়ুন: নদিয়ার শান্তিপুরে পুরোহিতকে খুনের অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে]

মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের কানাইগঞ্জ লেবুবাগানের বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পাল। স্ত্রী বিউটি ও ছ’বছরের ছেলের সঙ্গে থাকতেন তিনি। দশমীর দুপুরে ওই ঘর থেকেই তিনজনের নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়। খুনের ঘটনায় তদন্তে নামে জিয়াগঞ্জ থানার পুলিশ। কিন্তু কে বা কারা খুন করল, তা নিয়েই তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। তারই মাঝে আবারও এই খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করেই ফের প্রকাশ্যে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। ঘটনায় তীব্র নিন্দা করেছেন রাজ্যপাল। যদিও রাজ্যপালের বিবৃতিতে অসন্তষ্ট প্রশাসন। রাজ্য সাংবিধানিক সীমারেখা মানছেন না বলে পালটা তোপ দাগেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এদিকে আবার নিহত শিক্ষককে আরএসএস কর্মী বলেই দাবি করে বসেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এই খুনের নেপথ্যে রাজনৈতিক অভিসন্ধি লুকিয়ে রয়েছে বলেও দাবি তাঁর। রাজ্য পুলিশের পরিবর্তে ঘটনার সিবিআই তদন্ত হোক বলেও জানিয়েছেন তিনি। যদিও পরিবারের দাবি নিহত ওই শিক্ষক রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। 

Advertisement

প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি ডায়েরি উদ্ধার করেছে। পাওয়া গিয়েছে একটি চিরকুটও। দু’য়ের সূত্র ধরে পুলিশের দাবি, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তৃতীয় ব্যক্তির আগমনের জেরে এই খুন। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, তৃতীয় ব্যক্তির উপস্থিতিকে কেন্দ্র করে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে চিড় ধরেছিল। ওই ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে প্রায়শই অশান্তিও হত তাঁদের। তাই হয়তো খুন হতে হয়েছে তিনজনকে। ইতিমধ্যেই নিহতদের কললিস্ট খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এছাড়াও তাঁদের মোবাইল থেকে বেশ কিছু ছবি পাওয়া গিয়েছে, যা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

[আরও পড়ুন: ফটোগ্রাফির শখই কাড়ল প্রাণ, দার্জিলিং ঘুরে কফিনবন্দি হয়ে ফিরলেন রিষড়ার ব্যবসায়ী]

নিহত ওই শিক্ষক স্থানীয় একজনের কাছ থেকে বেশ কিছু টাকা ধার করেছিলেন। তা নিয়েও বেশ সমস্যায় ছিলেন প্রকাশ। যদিও খুনের সঙ্গে টাকা ধারের কোনও যোগসূত্র রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কোনও পরিচিত ব্যক্তিই যে এই নৃশংস কাণ্ড ঘটিয়েছে সে বিষয়ে সন্দেহ নেই তদন্তকারীদের। খুব তাড়াতাড়ি ঘটনার কিনারা হবে বলেই দাবি পুলিশের।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement