ফাইল ছবি
অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: “নির্বাচিত কাউন্সিলরকে ওয়ার্ড এলাকায় দেখতে পাওয়া যায় না কেন?” সরাসরি এই অভিযোগ এনে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় পোস্টার লাগাল সিপিএম। এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মেয়র গৌতম দেব। তিনি ওয়ার্ডে সময় দিতে পারছেন না বলে অভিযোগ। তাই এই পোস্টার লাগানো হয়। এদিকে এলাকাজুড়ে এই পোস্টার দেখে ওয়ার্ডের বাসিন্দারাও হতবাক। যদিও গৌতম দেব এপ্রসঙ্গে বলেন, “আমি কখন ওয়ার্ডে যাই, তা নথিভুক্ত করা আছে। এসব সিপিএমের সংস্কৃতি। ওরা এসব করে আলোচনায় আসতে চাইছে।”
পুরনির্বাচনের সময় শিলিগুড়ি পুরনিগমের অধীনস্ত ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হয়ে মেয়র হয়েছেন গৌতম দেব। তাঁর বাড়ি অবশ্য ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে। সেই কারণে নির্বাচনের প্রাক্কালে ওই এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন তিনি। যদিও নির্বাচনের পর তা ছেড়ে দেন। কিন্তু অভিযোগ, একবছরে নিজের ওয়ার্ডে তেমন সময়ই দেননি কাউন্সিলর। টক টু মেয়রের অনুষ্ঠানেও ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা বলেছিলেন গান শেষ করে ওয়ার্ডে সময় দিতে। এবার তাঁর বিরুদ্ধে ওয়ার্ড জুড়ে পোস্টার পড়ল।
যদিও এলাকায় রয়েছে কাউন্সিলর কার্যালয়ও। তবে অভিযোগ, নির্বাচন মিটে যাওয়ার পর থেকে সেভাবে কাউন্সিলর গৌতম দেবকে দেখা যায় না ওই এলাকায়। স্বাভাবিকভাবেই ওয়ার্ডবাসী সাধারণ পরিষেবা থেকে বঞ্চিত। অভিযোগ, রাস্তার হাল বেহাল। মুখ থুবড়ে পড়ছে নিকাশি ব্যবস্থা। পানীয় জল সমস্যা ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। এই অভিযোগেই বুধবার রাতে সিপিএমের পক্ষে ওই পোস্টারগুলি লাগানো হয় এলাকায়। যদিও বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কাউন্সিলরের সেই পোস্টার উধাও। তবে অন্যান্য সব পোস্টার অক্ষতই রয়েছে। এ বিষয়ে প্রাক্তন ওয়ার্ড কাউন্সিলর তথা সিপিএম নেতা অসীম সাহা বলেন, “এলাকার মানুষ পরিষেবা পাচ্ছেন না। উন্নয়ন অধরা এলাকায়। সেক্ষেত্রে পোস্টার লাগানো হয়েছিল। আর এই অভিযোগ এলাকার মানুষের। কিন্তু পোস্টার পছন্দ না হওয়ায় কতিপয় দুষ্কৃতীরা সেসব ছিড়ে ফেলেছে।”
যদিও স্থানীয় কাউন্সিলর তথা মেয়র গৌতম দেব এসবকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তাঁকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করতেই কাজের ফিরিস্তি দিয়ে বলেন, “যারা একাজ করেছে তাদের প্রতি শুভেচ্ছা রইল। তারা আরও লিখুক। এতে আমাদের কাজের গতি আরও বাড়বে। আমি এলাকায় কবে কখন যাই সেসব, তথ্য আকারে রয়েছে রেজিস্টারে। আমি আমার দায়িত্ব কর্তব্য নিয়ে যথেষ্ট সচেতন। এসব নিয়ে মাথা ঘামিয়ে লাভ নেই।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.