ব্রতীন দাস, শিলিগুড়ি: পাহাড়ে দেড় মাস বনধ চালিয়ে যাওয়ার পরও গোর্খাল্যান্ডের দাবি নিষ্ফলা। এবার সমতল অশান্ত করার ছক গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার। শিলিগুড়ি লাগোয়া সুকনায় ঢুকে এদিন তাণ্ডবের চেষ্টা চালায় কয়েকশো মোর্চা সমর্থক। মোর্চার সশস্ত্র মিছিল আটকাতে কালঘাম ছোটে পুলিশের। দফায় দফায় পুলিশের ওপর হামলার চেষ্টা হয়। কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলটে ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে পুলিশ।
মোর্চার গা-জোয়ারিতে স্তব্ধ পাহাড়। তাদের নিশানায় সরকারি সম্পত্তি। গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে কেন্দ্র-রাজ্য থেকে কোনওরকম সঙ্কেত না পাওয়ায় ক্রমশ দৌরাত্ম্য বাড়ছে মোর্চার। সমতলে অশান্তি পাকাতে শনিবার রীতিমতো অস্ত্র নিয়ে হাজির হয় মোর্চা সমর্থকরা। গাড়িধুরা, তিনধারিয়া, মিরিকের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কুকরি এবং তির-ধনুক নিয়ে পরপর মিছিল সুকনায় পৌঁছয়। শিলিগুড়ি শহরে ঢোকার চেষ্টা মোর্চা সমর্থকরা। তাদের আটকাতে পুলিশ সুকনা বাজার এলাকায় ব্যারিকেড বানায়। মোর্চা ব্যারিকেড ভেঙে এগোলে দু’পক্ষের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়। কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। পালটা মোর্চা সমর্থকরা পাথর বৃষ্টি শুরু করে। কয়েকজন পুলিশকর্মী জখম হন। এরপর জল কামান দিয়ে পুলিশ বিক্ষুব্ধদের আটকানোর চেষ্টা করে। এরই ফাঁকে পুলিশের কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর হয়। বাধা পেয়ে ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখায় মোর্চা সমর্থকরা। রাস্তার মাঝে মাঝে বড় বড় পাথর ফেলে করা হয় অবরোধ। দফায় দফায় গণ্ডগোল হতে থাকে। পরিস্থিতি খারাপের দিকে যেতে থাকায় পুলিশ রাবার বুলেট ছোড়ে। তবে মোর্চা পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ এনেছে। অশান্ত পাকানোর দায়ে এক মোর্চা সমর্থককে আটক করা হয়েছে। কয়েকজন মোর্চা সমর্থক জখম হন। পরে আরও পুলিশ পাঠানো হয়।
পাহাড়ের পাশাপাশি ডুয়ার্সের গরুবাথান, মালবাজারে গণ্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করেছিল মোর্চা। এবার সমতলেও তারা অশান্তির চেষ্টা চালাল। শিলিগুড়ি শহর থেকে মাত্র ২ কিলোমিটার দূরে মোর্চার এই আস্ফালন প্রশাসনের চিন্তা বাড়িয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.