সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বনধের ৯১ দিনের মাথায় গোর্খাল্যান্ড নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন বাইচুং ভুটিয়া। প্রাক্তন ফুটবলার তথা তৃণমূলের টিকিটে দুবার ভোটে দাঁড়ানো বাইচুং মনে করেন গোর্খাল্যান্ডের অবশ্যই প্রয়োজন। এর ফলে পাহাড়ে স্থায়ীভাবে শান্তি ফিরবে। প্রত্যেকে ভালভাবে থাকবেন। মতামত একেবারেই নিজস্ব এবং এই ইস্যুতে দলের অবস্থানের সঙ্গে তার যে দূরত্ব রয়েছে তা বুঝিয়ে দিয়েছেন বাইচুং।
[রামকৃষ্ণ মিশনে বেনজির হামলা, অভিযুক্ত মোর্চা]
সিকিমের এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাইচুং জানান, তিনি ব্যক্তিগতভাবে মনে করেন পৃথক গোর্খাল্যান্ড দরকার। এর ব্যাখ্যাও দিয়েছেন প্রাক্তন ফুটবলার। তাঁর বক্তব্য, দার্জিলিংয়ের মানুষের কাছে এটি কয়েক দশকের লড়াইয়ের বিষয়। যে দাবি অত্যন্ত সঙ্গত। ইতিহাস বলছে দার্জিলিং এবং কালিম্পং কখনই পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে ছিল না। বাইচুংয়ের বক্তব্য, বাংলার বাকি অংশের মানুষ মনে করেন না গোর্খাল্যান্ড বেরিয়ে গেলে এমন কিছু ক্ষতি হবে। রাজ্য সরকার শান্তি ফেরাতে চেষ্টা চালালেও কখনই তা দীর্ঘমেয়াদি হবে না। জিটিএ হওয়ার পরও গোর্খাল্যান্ডের দাবি থামেনি। তাই মানুষ এত সহজে হাল ছাড়বেন না।
[জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ রোহিঙ্গারা, সুপ্রিম কোর্টকে জানাল কেন্দ্র]
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোর্খাল্যান্ডের বিপক্ষে। এরপরও কেন তিনি তৃণমূল ছাড়ছেন না। এক্ষেত্রে বাইচুংয়ের জবাব, তৃণমূল ছাড়লে এই দাবি পূরণ হবে বলে তিনি মনে করেন না। তবে দলনেত্রীর সঙ্গে এক্ষেত্রে তাঁর যে দ্বিমত রয়েছে তা জানিয়েছেন বাইচুং। কোন পথে গোর্খাল্যান্ড আসবে। এই বিষয়ে বাইচুংয়ের মত, এই ইস্যু নিয়ে বাংলার বিভিন্ন জনজাতি, বুদ্ধিজীবীদের সমর্থন চাইতে হবে। গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনকারীদের রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকারের সঙ্গে বজায় রাখতে হবে সুসম্পর্ক। এব্যাপারে তাঁর পরামর্শ, দাবি আদায়ে হিংসাশ্রয়ী না হয়ে শান্তিপূর্ণ পথে এগোতে হবে। ব্যবহার করতে হবে সোশ্যাল মিডিয়া। বাংলার অন্যান্য জাতিদের সমর্থন জোগাড় করতে হবে। নেতিবাচক মন্তব্য থেকে দূরে থাকতে হবে। কারণ এই আন্দোলনের ফলে শুধু পাহাড়ের মানুষ নন, সিকিম এবং শিলিগুড়ির বাসিন্দারাও বিপাকে পড়েছেন। শান্তি ফিরলে সবাই ভাল থাকবেন।
[নির্মম উপহাস, উত্তরপ্রদেশের কৃষকের ঋণ মকুব মাত্র ১০ টাকা!]
সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পবন কুমার চামলিং যেভাবে গোর্খাল্যান্ড দাবির পাশে দাঁড়িয়েছেন তাতে খুশি বাইচুং। প্রাক্তন এই ফুটবলারের ধারণা, গোর্খাল্যান্ড আদায়ে কীভাবে এগোনো উচিত তা নিয়ে চামলিংয়ের পরামর্শ মিললে আন্দোলনকারী দিশা পাবেন। গোর্খাল্যান্ড পেতে আরও একটি পরামর্শ দিয়েছেন বাইচুং। প্রাক্তন ফুটবলারের মতে সিকিমের দুই সাংসদ সংসদে গোর্খাল্যান্ডের বিষয়টি তুললে প্রভাব আরও সুদূরপ্রসারী হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.