অরূপ বসাক, মালবাজার: ‘‘গোর্খাল্যান্ড কখনওই আমাদের ইস্যু ছিল না৷’’ রবিবার নাগরাকাটার দলীয় সভায় এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যাকে ঘিরে তৈরি হয়েছে নয়া বিতর্ক৷ এই মন্তব্যের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে ওয়াকিবহাল মহল৷ অনেকেই বলছেন, পাহাড়ে উত্তেজনার সময়ই হোক বা কোনও নির্বাচন, একাধিকবার গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে সওয়াল করতে দেখা গিয়েছে গেরুয়া শিবিরকে৷ তবে এখন কেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি এই কথা বলছেন, সেই প্রশ্ন ঘিরে তৈরি হয়েছে জোর জল্পনা৷
[ আরও পড়ুন: নদীতে আটকে ১৪ দিনের শাবক-সহ হাতির দল, প্লাবিত উত্তরবঙ্গে সংকটে বন্যপ্রাণ ]
এখানেই শেষ নয়, এদিনের সভায় আরও একবার বিক্ষুব্ধদের কড়া বার্তা দেন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ৷ সাফ জানান, ‘‘যাঁদের দলে নেওয়া হয়েছে, তাঁরা দলেই থাকবেন৷ এটাই দলের নিয়ম। যাঁরা দলের নিয়ম মানবে না, তাঁরা দল ছেড়ে যাক৷’’ এদিন রাজ্য সভাপতির মন্তব্যকে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷ তাঁদের মতে, নির্বাচনের পর থেকেই এ রাজ্যে দলে দলে সিপিএম ও তৃণমূল কর্মীরা গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাচ্ছে এবং তাতে গোষ্ঠীকোন্দল মাথাচাড়া দিচ্ছে বঙ্গ বিজেপিতে৷ শাসকদলের মতোই বিজেপিতেও প্রকট হচ্ছে আদি ও নবীনের লড়াই৷ এই প্রবণতা যে দলের পক্ষে ক্ষতিকর তা, ভাল করেই জানেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি৷ সেজন্যই তাঁর এই কড়া বার্তা৷ এমনকী এদিন আবারও এনআরসির পক্ষে সওয়াল করেন দিলীপ৷ স্পষ্ট জানান, ক্ষমতায় এলেই রাজ্যে এনআরসি প্রয়োগ করবে বিজেপি৷
এদিনের সভায় দিলীপ ঘোষ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ জন বারলা, জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপি সভাপতি দেবাশীষ চক্রবর্তী ও বিজেপির নাগরাকাটার দুই মণ্ডল সভাপতি মনোজ ভুজেল ও নিরঞ্জন সরকার৷ সভায় প্রায় বিভিন্ন দল থেকে প্রায় ৩০০ কর্মী যোগ দেন বিজেপিতে৷
[ আরও পড়ুন: ১০ টাকা না অন্য কোনও কারণ? বন্ধুকে হাতুড়ি মেরে খুনের ঘটনায় উঠছে প্রশ্ন ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.