পলাশ পাত্র, তেহট্ট: পরনে খাটো ধুতি, আর ফতুয়া, ঠোঁটে মুচকি হাসি। একহাতে ভোটার কার্ড, আর অন্য হাতে প্ল্যাকার্ড। নদিয়ায় ভোটারদের সচেতন করতে আসরে নেমেছেন স্বয়ং গোপাল ভাঁড়। রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের রাজসভার বিদূষককেই ফের নির্বাচনী ম্যাসকট করল জেলা প্রশাসন।
[রায়গঞ্জ,মুর্শিদাবাদে প্রার্থী ঘোষণা করে কংগ্রেসের কোর্টে বল ঠেলল সিপিএম]
লোকসভা ভোট দোরগোড়ায়। রাজ্যের সমস্ত জেলায় ভোটের প্রস্তুতিও তুঙ্গে। জেলার একজন ভোটারের নাম যাতে তালিকা থেকে বাদ না যায়, তা নিশ্চিত করতে তৎপর নদিয়া জেলা প্রশাসনও। আর তাই ফের আসরে নামতে হল গোপাল ভাঁড়কে। গত বিধানসভা ভোটের সময়ে এই বিদূষককেই ম্যাসকট করে জেলাজুড়ে প্রচার চালিয়েছিল প্রশাসন। আর লোকসভা ভোটে তাঁরই শরণাপন্ন হয়েছেন নদিয়ার প্রশাসনিক কর্তারা। নদিয়ায় গোপাল ভাঁড়ের জনপ্রিয়তার কথা স্বীকার করেছেন খোদ জেলাশাসক ও নির্বাচন আধিকারিক সুমিত গুপ্তা। তিনি জানিয়েছেন, জনপ্রিয়তার কারণেই গোপাল ভাঁড়কে এবারও নির্বাচনী ম্যাসকট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কিন্তু কে এই গোপাল ভাঁড়? নদিয়ার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কই বা কী? এই প্রশ্ন আপাতভাবে অর্থহীন। তবু স্মৃতি রোমন্থন করাই যায়। নদিয়ায় রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় রাজত্ব করছেন। তাঁর রাজসভার বিদূষক ছিলেন গোপাল ভাঁড়। মাঝে পেরিয়ে গিয়েছে প্রায় তিনশো বছর। গোপাল ভাঁড়ের জনপ্রিয়তা এতটুকু কমেনি। তাঁকে নিয়ে মুখে মুখে ছড়িয়েছে হাজারো গল্প, মিথ। ছোটখাটো, গোলগাল মানুষটি ছিলেন নদিয়ারই ভূমিপূত্র। কৃষ্ণনগরের ঘূর্ণিতে জন্মেছিলেন গোপাল ভাঁড়। তাঁর নামে একটি পুরস্কার চালু করেছিল কৃষ্ণনগরের রাজপরিবার। ১৯৫৭ সালে শেষবার সেই পুরস্কার গ্রহণ করেছিলেন শরৎ পণ্ডিত, যিনি দাদা ঠাকুর নামে বহু পরিচিত, জনপ্রিয়। তবে সেই রাজপরিবারের বিদূষক গোপাল ভাঁড়কে আজকের নদিয়া জেলা প্রশাসন এভাবে সম্মান জানানোয় খুশি রাজপরিবারের সদস্যরাও। নদিয়া রাজের গৃহকর্ত্রী অমৃতা রায় বলেন, ‘‘ গোপাল ভাঁড় নদিয়ার গর্ব৷ ইনি জটিল সমস্যার সুরাহা করতেন৷ গোপাল ভাঁড়কে ম্যাসকট করা ভাল খবর৷ নদিয়ার মানুষকে রাজ্য প্রশাসন সম্মান জানাবে৷’’
[ চোপড়ায় তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে চলল গুলি, আহত দশম শ্রেণির ছাত্রী]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.