সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুর্শিদাবাদ, বীরভূমের পর এবার পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে সিবিআই হানা। শনিবার সকালে নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়ানো গোপাল দলপতির পৈতৃক বাড়িতে যান আধিকারিকরা। গোপালের বৃদ্ধা মায়ের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন তাঁরা। ঘণ্টাদুয়েক পর ভূপতিনগর থেকে বেরিয়ে যান সিবিআই আধিকারিকরা। বেহালায় গোপাল ও হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাটেও যান তাঁরা।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর দুই ব্লকের গড়বাড়ি দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের খিরিশবাড়ি গ্রামে রয়েছে গোপাল দলপতির আদি বাড়ি। গোপালের গ্রামের বাড়িতে মা লক্ষ্মী ছাড়া কেউ থাকেন না। শিবরাত্রির সময় শেষবার ভূপতিনগরের পৈতৃক বাড়িতে যান গোপাল। তারপর গোপালের মায়ের কাছে একজন আসেন। একটি চিঠি দিয়ে যান। ওই চিঠি পরে এসে নিয়ে যান গোপাল। তাতে কী লেখা ছিল, তা জানতে গোপালের মাকে জেরা করেন তদন্তকারীরা।
উল্লেখ্য, হুগলির ধৃত যুবনেতা কুন্তল ঘোষের মুখে তাপস মণ্ডলের সঙ্গে সঙ্গে উঠে এসেছিল গোপাল দলপতির নামও। কুন্তলের দাবি ছিল, তিনি গোপালকে বিপুল পরিমাণ টাকা দিয়েছেন। যদিও গোপাল ইডির কাছে তা অস্বীকার করেন। গোপাল নাম ভাঁড়িয়ে পরিচয় গোপন করে। আদালতে গিয়ে এফিডেফিট করে ‘আরমান গঙ্গোপাধ্যায়’ নাম নেন। সেই নামে কাপড়ের ব্যবসা খোলেন। গোপাল দলপতি ও মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল আসলে পূর্ব মেদিনীপুরের একই এলাকার বাসিন্দা। তদন্তকারীদের দাবি, প্রথমে ‘আরমান’ নামে কাপড়ের ব্যবসা শুরু করলেও তা ভাল চলছিল না। তাই তাপস মণ্ডলের শরণাপন্ন হন গোপাল। গোপাল তাঁকে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা তুলতে বলেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.