তারক চক্রবর্তী, শিলিগুড়ি: পুলিশ এবং গোয়েন্দাদের নজর এড়াতে জুতোর নিচে সোলের ভিতর লুকিয়ে আবারও সোনা পাচারের চেষ্টা। যদিও শেষ মুহুর্তে সেই ছক ভেস্তে দিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা রাজস্ব বিভাগের(ডিআরআই) আধিকারিকরা। ডিআরআইয়ের অভিযানে উদ্ধার হয়েছে কোটি টাকার সোনা। ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে দুই ব্যক্তিকে।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা অসমের ধুবরীর বাসিন্দা সোনাউল্লা শিকদার এবং বিহারের কাটিহারের বাসিন্দা দিবাকর দাস। ধৃতদের বুধবার শিলিগুড়ি আদালতে পেশ করা হলে বিচারক জামিনের আবেদন খারিজ করে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। ঘটনায় আর কেউ জড়িত রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু ডিআরআই।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে কোচবিহার জেলার তুফানগঞ্জে অভিযান চালায় ডিআরআই। সেখান থেকে সোনাউল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, সোনাউল্লা বাইকে করে রওনা হয়েছিল শিলিগুড়ির পথে। তাঁকে জিজ্ঞাবাদ করে জানা যায় এই ঘটনার মূল পান্ডা দিবাকর। এরপরই ধৃতের বয়ান অনুসারে রাতেই অভিযান চালানো হয় নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে। আপ ডিব্রুগর রাজধানী এক্সপ্রেস থেকে পাকড়াও করা হয় দিবাকরকে। দু’জনের হেফাজত থেকে মোট ১৬টি সোনার বিস্কুট-সহ একটি বার বাজেয়াপ্ত করা হয়। যেগুলি জুতোর সোলের ভিতর লুকিয়ে রাখা ছিল বলেই খবর।
বাজেয়াপ্ত করা সোনার মোট ওজন ২ কেজি ৪৮১.৫ গ্রাম। আনুমানিক বাজারমূল্য ১ কোটি ৪৮ লক্ষ ৩৯ হাজার ৩৭০ টাকা। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, বাজেয়াপ্ত করা সোনাগুলি বাংলাদেশ থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল এদেশে। এরপর সেগুলি সুপরিকল্পিতভাবে পাচারের ছক কষা হয়েছিল।
এই পাচার চক্রের পিছনে বড় কোনও চক্র সক্রিয় রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনা প্রসঙ্গে ডিআরআই-র সরকারী আইনজীবী রতন বণিক বলেন, “ধৃতদের আদালতে পেশ করা হলে বিচারক জামিনের আবেদন খারিজ করে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। অন্য দেশের থেকে সোনা পাচার করার অভিযোগ রয়েছে ধৃতদের বিরুদ্ধে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.