সংগ্রাম সিংহরায়, শিলিগুড়ি: শহরের ব্যস্ত এলাকায় বন্দুক দেখিয়ে ডাকাতির ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল। শনিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ির বর্ধমান রোডে। ডাকাতদের মারে জখম হয়েছেন দু’জন। এই ঘটনার পর শহর ঘিরে শুরু হয়েছে নাকা তল্লাশি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমান রোডের একটি বেসরকারি গোল্ড লোন কোম্পানির অফিসে গ্রাহক সেজে ঢোকে দুষ্কৃতীরা। তাদের বাধা দিতে গিয়ে ওই অফিসের দু’জন কর্মী জখম হন। তাঁদের খালপাড়ার একটি নার্সিংহোমে ভরতি করা হয়েছে। পাশাপাশি এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে শিলিগুড়ি থানা ও গোয়েন্দা দপ্তর। এছাড়া শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের সিনিয়র আধিকারিকদের অনেককেই তদন্তের কাজে লাগানো হচ্ছে। এই ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান ডিসি ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়।
পরে এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ওই দুষ্কৃতীদের দলে তিন থেকে চারজন ছিল বলে জানতে পেরেছি। তাদের কাছে পিস্তল জাতীয় কিছু ছিল। তা দেখিয়ে দেড় লক্ষ টাকা এবং প্রচুর সোনা নিয়ে তারা চম্পট দেয়। কতটা সোনা ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ফিনান্স কোম্পানির অফিসে সিসিটিভি রয়েছে। তার ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
এদিকে কীভাবে এত লোকের মধ্যে বর্ধমান রোডের মতো জনবহুল এলাকায় ডাকাতি হলে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন শহরবাসী। অন্যদিকে পুজোর আগে একের পর এক ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনায় সন্ত্রস্ত সাধারণ মানুষ পুলিশের ঢিলেঢালা নজরদারিকেই দায়ী করছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বিকেলে গ্রাহক সেজে সংস্থার অফিসে ঢোকে কয়েকজন ব্যক্তি। প্রথমে কথা বলতে থাকে। এরপর একজন ক্যাশ ডিপার্টমেন্টে বসে থাকা কর্মীকে বন্দুক দেখিয়ে ভল্ট খুলতে বলে। নিরাপত্তারক্ষী বাধা দিতে গেলে তাঁর সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। আর তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে জখম হন এক চতুর্থ শ্রেণির কর্মী। এরপরই বন্দুকের সামনে ভল্ট খুলে দিতে বাধ্য হন দায়িত্বে থাকা কর্মী।
এক বছর আগে শিলিগুড়ির হিলকার্ট রোডের একটি বহুজাতিক সংস্থার সোনার দোকানে একই কায়দায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল। ওইদিন ডাকাতের গুলিতে জখম হয়েছিলেন এক নিরাপত্তাকর্মী। বেশ কিছুদিন পরে দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এই ডাকাতির ঘটনাটিও হুবহু একই কায়দায় হয়েছে। তাই পুলিশের ধারণা, আগের চক্রটির সঙ্গে কোনওভাবে এর যোগাযোগ থাকলেও থাকতে পারে। তবে শহরবাসীর আস্থা ফেরাতে দ্রুত দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.