সুমন করাতি, হুগলি: আর জি কর কাণ্ডে ফুঁসছে গোটা বাংলা। তারই মাঝে এবার এক মহিলা পুলিশ আধিকারিককে হেনস্তার অভিযোগ। কাঠগড়ায় হুগলির গোঘাটের তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত সমিতির বনভূমির কর্মাধ্যক্ষ মইদুল ইসলাম ওরফে সঞ্জয় খানের বিরুদ্ধে। একাধিক ধারায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। যদিও ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সোশাল মিডিয়ায় ক্ষমা চেয়ে পোস্ট করেন তৃণমূল কর্মাধ্যক্ষ।
বুধবার বিজেপির ডাকা ধর্মঘটের সমর্থনে গোঘাটের(Goghat) কাঁটালি এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন বিজেপি কর্মীরা। সেই অবরোধ তুলতে যান গোঘাট থানার এস আই সুস্মিতা দাসের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী। অভিযোগ, সেই সময় অবরোধে আটকে থাকা তৃণমূল নেতা সঞ্জয় খানের রোষের মুখে পড়েন ওই মহিলা পুলিশ আধিকারিক। শুরু হয় দুপক্ষের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়। সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, তৃণমূল নেতা অভিযোগ করেন, ওই মহিলা পুলিশ আধিকারিকের সমর্থনেই নাকি অবরোধ হয়েছে। কেন অবরোধ এতক্ষণ হল সে জবাব চান। রীতিমতো আঙুল উঁচিয়ে উচ্চস্বরে মহিলা পুলিশ আধিকারিককে রীতিমতো হুমকি দিতেও দেখা গিয়েছে।
পালটা আবার মহিলা পুলিশ আধিকারিক বলেন, “বাজার গরম ও এলাকা উত্তপ্ত করতে কেন এসেছেন? একজন কর্তব্যরত মহিলা পুলিশ আধিকারিককে কেন হেনস্তা করছেন?” যদিও তার পরই গোঘাট থানার বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়। ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা, মহিলা আধিকারিককে হেনস্তা, অশ্লীল ভঙ্গিতে কথা বলা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
যদিও ঘটনার পর ভুল স্বীকার করে নিয়েছেন ওই তৃণমূল নেতা। জানান, তিনি ছেলের ওষুধ কিনতে যাওয়ার পথে রাস্তায় আটকে যাওয়ায় মাথা গরম হয়ে গিয়েছিল। তাই বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। ওই পুলিশ আধিকারিক সোশাল মিডিয়ায় ক্ষমা চেয়ে নেন। যদিও এই ঘটনা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের স্থানীয় এক নেত্রী দোলন দাস বলেন, “এই রাজ্যে মহিলাদের কী অবস্থা তা ফের প্রমাণ করল এই তৃণমূল নেতার দাদাগিরি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.