সুব্রত যশ, আরামবাগ: গোঘাটে (Goghat) বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ফের তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। বিজেপি নেতৃত্ব এই ঘটনায় তৃণমূল এবং পুলিশের যোগসাজশ রয়েছে বলেই অভিযোগের সুর চড়িয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার আরামবাগ মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের অফিসের সামনে ধরনা দেন সায়ন্তন বসু এবং সৌমিত্র খাঁ-সহ অন্যান্য বিজেপি নেতা, কর্মীরা।
তাঁদের কথা ছিল মৃতের বাড়িতে যাওয়ার। কিন্তু সেই পরিকল্পনা বাতিল করেন তাঁরা। পরিবর্তে আরামবাগ মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের অফিসের সামনে ধরনায় বসেন। কিন্তু কেন তাঁরা বাড়িতে না গিয়ে এসডিপিও অফিসের সামনে ধরনায় বসলেন? তার উত্তরে সায়ন্তন বসু (Sayantan Basu) বলেন, “আমরা তো এখানে ঢাক বাজাতে আসিনি। বিজেপি কর্মীর বাড়িতে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তাঁর পরিজনেরা বাড়িতে নেই। পুলিশ তাঁদের অপহরণ করেছে। তৃণমূল এবং পুলিশ মিলে এলাকায় সন্ত্রাস করছে। এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। তাই অবিলম্বে মহকুমা পুলিশ আধিকারিককে বদলি করতে হবে। সেই দাবিতেই আমরা ধরনায় বসেছি।” তিনি আরও বলেন, “একটা সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ দিনমজুরের কাজ করতেন। গরু কেনাবেচা করতেন। আগেরদিন বিকেল থেকে নিরুদ্দেশ ছিলেন। তার পরেরদিন মিলল ঝুলন্ত মৃতদেহ। যেটা অসম্ভব। তাঁর পা মাটিতে ঠেকে ছিল। কী করে এভাবে মৃত্যু হয়? তাই আমাদের দাবি প্রকৃত দোষীদের গ্রেপ্তার করে তাদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে। পুলিশ আধিকারিককে এখান থেকে অপসারণ করতে হবে। নাহলে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।”
সাংসদ সৌমিত্র খাঁও (Saumitra Khan) পুলিশকে একহাত নেন। তিনি বলেন, “এসডিপিও গুলি, বন্দুক সরবরাহ করছে বিভিন্ন জায়গায়। কালকের ঘটনার পর বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে হামলা চালিয়েছেন। তাই আমরা চাই অবিলম্বে এসডিপিওকে গ্রেপ্তার করতে হবে। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আরামবাগকে উপহার দিতে চাইছে। কিন্তু জনগণ সেটা মেনে নেবে না। আমরা গণেশ রায়ের বাড়িতে যেতে চেয়েছিলাম কিন্তু তিনি বলেছিলেন এত লোকজন নিয়ে যাওয়া যাবে না। শুধুমাত্র কয়েকজন ভিআইপি ছাড়া কেউ যেতে পারবে না। আমাদের দলের কেউ ভিআইপি নয়। সবাই আমরা ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মী।”
অন্যদিকে হুগলি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, “স্থানীয়রা বাস্তবটা বুঝে গিয়েছেন। তাই বিজেপি এখন অপহরণের গল্প ফাঁদছে। বলছে বিজেপি কর্মীর পরিবারের লোকজনকে নাকি কিডন্যাপ করা হয়েছে। পশ্চিমবাংলার মাটি তাঁরা খুঁজে না পেয়ে এসব গল্প আবিষ্কার করছে। আমরা মানুষের সঙ্গে ছিলাম। মানুষের পাশে আছি। মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখাও করেছি।”
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.