দেব গোস্বামী, বোলপুর: ফের ছাত্রী নিগ্রহের অভিযোগে উত্তপ্ত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (Vishva Bharati University)। পরীক্ষায় ফেল করানোর ভয় দেখিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে (WhatsApp)ছাত্রীদের অশালীন মেসেজ করার অভিযোগে ভাষাভবনের এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে বোলপুর মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন তিন ছাত্রী। এনিয়ে অভিযুক্ত অধ্যাপক আবদুল্লা মোল্লার দাবি, অভিযোগের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। যদি কোনও ছাত্র বা ছাত্রীকে মেসেজ করা হয়, তাহলে তা পড়াশোনা সংক্রান্ত বিষয়েই, অন্য কিছু নয়।
বিশ্বভারতীর পার্সিয়ান, উর্দু এবং ইসলামিক স্টাডিজের অধ্যাপক আবদুল্লা মোল্লা। তাঁরই বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছেন ওই বিভাগের ৩ ছাত্রী। ওই তিন ছাত্রীর অভিযোগ, “পরীক্ষায় ফেল করানোর ভয় দেখিয়ে একাধিকবার আমাদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন ওই প্রফেসর। এমনকি আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বিভিন্ন অশ্লীল মেসেজও পাঠাতেন। আমরা খুব আতঙ্কিত হয়ে আছি। আমরা বোলপুর মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।”
অভিযোগের সঙ্গে তথ্য হিসেবে ওই অধ্যাপকের সঙ্গে ছাত্রীদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট (WhatsApp Chat) থানায় জমা দিয়েছেন তাঁরা। তাতে দেখা গিয়েছে, কখনও সেমিস্টারে ছাত্রীদের একটি বিষয়ে ফেল করার কথা বলছেন অধ্যাপক আবদুল্লা মোল্লা। কখনও তিনি কার্যত হুমকির সুরেই বলছেন, ফেল করার পিছনে কারণ রয়েছে। কখনও আবার অধ্যাপক অভিযোগ করছেন যে ছাত্রীরা তাঁর অনুপস্থিতিতে গালিগালাজ করেন। কোনও মেসেজে আবার তিনি এক ছাত্রীকে আলাদা করে দেখা করার কথা বলেছেন বলেও দেখা গিয়েছে। এসব চ্যাট প্রকাশ্যে আসায় অধ্যাপকের বিরুদ্ধে রীতিমতো ক্ষুব্ধ ভাষাভবনের অন্যান্য ছাত্রছাত্রীরা।
এই বিষয়ে অধ্যাপক আবদুল্লা মোল্লার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমি এখন বোলপুরে নেই। এই বিষয়ে আমি কিছু জানি না। যদি কোনও পড়ুয়াকে মেসেজ করা হয়, তাহলে পড়াশোনার বিষয়েই তা করা হয়েছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.