নিজস্ব সংবাদদাতা, বনগাঁ: পণের দাবিতে নাবালিকা গৃহবধূকে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে৷ এই অভিযোগে মৃতার স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ৷ ঘটনা উত্তর ২৪ পরগনার সেকাটি গ্রামের৷
প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগেই উত্তর ২৪ পরগনার সেকাটি গ্রামের বাসিন্দা উজ্জ্বলের সঙ্গে নদিয়ার বসন্তপুরের পূজা দাসের বিয়ে হয়৷ পূজার বাবা বিয়েতে নগদ ৩০ হাজার টাকা পাত্রপক্ষকে দিয়েছিলেন৷ সঙ্গে গয়নাগাটি তো ছিলই৷ কথা ছিল, বিয়ের পর আরও ১৫ হাজার টাকা দেবেন নববধূর বাবা৷ মাত্র মাসদুয়েক সংসার করেছিল নাবালিকা৷ তারই মধ্যে তিক্ততায় ভরে গিয়েছিল তার দাম্পত্য জীবন৷ অভিযোগ, সময়মতো পণের বাকি ১৫ হাজার টাকা না পাওয়ায় বাপেরবাড়িতে শুরু হয় গঞ্জনা৷ নাবালিকার উপর শুরু হয় অত্যাচার৷ মারধরের পাশাপাশি তাঁকে মানসিক অত্যাচারও করা হত বলেও অভিযোগ৷ বাপেরবাড়িতে বহুবার জানিয়েছে নাবালিকা৷ বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথাও বলেছিল সে৷ কিন্তু শোনেননি মেয়ের বাবা৷
মেয়ের অসুস্থতার কথা শুনে এদিন নদিয়া থেকে বনগাঁয় ছুটে আসেন গৃহবধূর বাবা৷ শ্বশুরবাড়িতে এসে মেয়ের নিথর দেহ দেখতে পান তিনি৷ শ্বশুরবাড়ির লোকজন জানান, গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে পূজা৷ যদিও নববধূর বাবার অভিযোগ, আত্মহত্যা নয়, খুন করা হয়েছে তাকে৷ এরপরই গাইঘাটা থানার দ্বারস্থ হন মৃতার বাবা৷ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতার দেহ ময়নাতদন্তে পাঠায়৷ মৃতার স্বামী, শ্বশুর এবং শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.