চন্দ্রজিৎ মজুমদার, কান্দি: প্রতিশ্রুতি দিয়েও বিয়ে না করায় প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধরনায় বসলেন প্রেমিকা। অভিযোগ, দীর্ঘদিন প্রেম করে, রাত কাটিয়েও বিয়ে করতে রাজি হননি যুবক। উলটে বিয়ের জন্য ৭ লক্ষ টাকা পণ চেয়ে বসেন তিনি। তা দিতে অপারগ ছিল প্রেমিকার পরিবার। এর পরই সমস্ত যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) যুবক। প্রেমিককে ফিরে পেতে এবার ধরনায় বসলেন প্রেমিকা। তাঁর সাফ কথা, “ওকে ছাড়া আমি বাঁচব না। ওঁর সঙ্গে সারাজীবন কাটাতে চাই।”
যুবতীর বাড়ি পূর্ব বর্ধমান জেলার মাধবদীঘি থানা এলাকায়। যুবকের বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলার বড়ঞা থানার কুলি গ্রামে। যুবকের নাম ওয়াজিদ আলি (বাবু)। বেশ কিছুদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়া যুবতীর সঙ্গে পরিচয় হয় বাবুর। আস্তে আস্তে বন্ধুত্ব। পরে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। সময় সুযোগ বুঝে দেখাসাক্ষাৎ করতেন দুজনে। ঘুরতেও যেতেন। এমনকি, দিঘাতেও বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখানে রাতে একসঙ্গে ছিলেনও।
যুবতীর অভিযোগ, এর পর বিয়ের কথা বলতেই ৭ লক্ষ টাকা দাবি করেন ওয়াজিদ। প্রেমিকা জানিয়েছিলেন, তাঁরা গরিব। এতো টাকা দেওয়ার সামর্থ্য নেই তাঁর বাবার। সেই কথা শোনার পর থেকে সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া থেকে মেয়েটিকে ব্লক করে দেন ওয়াজিদ। ফোন করাও বন্ধ করে দেন। বন্ধ হয়ে যায় যোগাযোগ।
অবশেষে শুক্রবার রাতে পূর্ব বর্ধমান থেকে রওনা দেন ওই যুবতী। এদিন রাত থেকেই কুলি চৌরাস্তা মোড়ে প্রেমিকের বাড়ির দরজায় ধরনায় বসেন তিনি। তাঁকে দেখে ওয়াজিদের পরিবারের লোকজন বাড়ি বন্ধ করে পালিয়ে যান বলে অভিযোগ। ঘটনা জানাজানি হতেই প্রতিবেশীরা যুবকের বাড়ির সামনে আসেন। ঘটনার খবর দেওয়া হয় বড়ঞা থানার পুলিশকে। পুলিশ এসে যুবতীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তিনি জানান, “এর আগেও আমি একবার এসেছিলাম,বড়ঞা থানায় গিয়ে দুজনের মধ্যে ফয়সালা হয়। সেই সময় ওয়াজিদ বলেছিলেন, সম্পর্ক রাখবেন। কিন্তু হঠাৎ করে মোবাইলের নম্বর বদলে ফেলেন।” তিনি আরও বলেছেন, “ওয়াজিদকে ছাড়া আমি বাঁচতে পারব না। ওঁর সঙ্গে আমি সারাজীবন কাটাতে চাই।” ওয়াজিদ পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। বড়ঞা থানার পুলিশ ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.