সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: ঘনিষ্ঠ অবস্থায় তাদের দেখে ফেলেছিল প্রেমিকার আট বছরের মেয়ে। তাই পথের কাঁটাকে উপড়ে ফেলতে ঘুমন্ত অবস্থায় গলার নলি কেটে কিশোরীকে খুন করল প্রেমিক। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। খুনে ব্যবহৃত ছুড়ি-সহ ঘাতক প্রেমিককে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।
[সিন্ডিকেটের রাজত্ব চলছে বাংলায়, মেদিনীপুরে মমতাকে তোপ মোদির]
রবিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়ার কেন্দায়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত প্রেমিকের নাম বীরু মাহাতো। তার বাড়ি পাশের রাজ্য ঝাড়খণ্ডের সরাইকেল্লা-খরশোয়া জেলার নিমডির দয়াপুর গ্রামে। আর মৃত কিশোরীর নাম পার্বতী মাহাতো, বয়স ৮। বাড়ি পুরুলিয়ার কেন্দার কোনাপাড়া গ্রামে। জানা গিয়েছে, মৃতার বাবা শশাঙ্ক মাহাতো ঠিকাদারের অধীনে গুজরাটে রং মিস্ত্রির কাজ করতেন। সেখানেই তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয় বীরুর। দু’জনের মধ্যে দারুণ বন্ধুত্ব তৈরি হয়। তার জেরে বন্ধু শশাঙ্কবাবুকে না জানিয়ে প্রায়ই কেন্দার কোনাপাড়া গ্রামে আসত বীরু। আর সেই সূত্রেই শশাঙ্কের স্ত্রী শশাঙ্ক মাহাতো ঠিকাদারের অধীনে গুজরাটে রং মিস্ত্রির কাজ করতেন। সেখানেই তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয় বীরুর। দু’জনের মধ্যে দারুণ বন্ধুত্ব তৈরি হয়। তার জেরে বন্ধু শশাঙ্কবাবুকে না জানিয়ে প্রায়ই কেন্দার কোনাপাড়া গ্রামে আসত বীরু। আর সেই সূত্রেই শশাঙ্কের স্ত্রী মিলনী মাহাতোর সঙ্গে বীরুর প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়।
[মেদিনীপুরে মোদির সভায় ভাঙল শামিয়ানা, আহতদের দেখতে হাসপাতালে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী]
পুলিশ জানিয়েছে, দিন কয়েক আগে মা, মিলনী মাহাতোকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় বীরুর সঙ্গে দেখে ফেলেছিল মৃতা৷ যা সে জানিয়ে দেয় বাবাকে৷ বিষয়টি জানার পর থেকেই দুই বন্ধুর মধ্যে শুরু হয় বিবাদ৷ এমনকী কয়েকদিন আগে মিলনী শশাঙ্ক, পার্বতীদের ছেড়ে বীরুর সঙ্গে ঝাড়খণ্ডে গিয়ে বসবাস শুরু করেছিল৷ কিন্তু আবারও ফিরে আসে সে৷ এমত পরিস্থিতিতে গুজরাটের কাজ ছেড়ে বাড়িও ফিরে এলেছিল শশাঙ্কবাবু। কিন্তু প্রতিশোধ স্পৃহায় রবিবার রাতে কিশোরী পার্বতী মাহাতোকে খুন করে ধৃত বীরু মাহাতো। সোমবার ধৃতকে তোলা হয় আদালতে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.