ছবি: প্রতীকী
অভিষেক চৌধুরী, কালনা: হিংস্র চোখমুখ, লম্বা লম্বা চুল, হাতে রক্তমাখা ছুরি। অদ্ভুত দর্শনের অশরীরীর আতঙ্কে ত্রস্ত পূর্বস্থলীর ১ নম্বর ব্লকের চাঁপাহাটি কেপিসি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়া। ওই অশরীরী নজরে পড়ে তিন ছাত্রীর। অদ্ভুতূড়ে ওই কাণ্ডের পর নিরাপত্তার কথা ভেবে স্কুলে বসতে চলেছে সিসি ক্যামেরা। সচেতনতার প্রচারে নেওয়া হবে বিজ্ঞানমঞ্চের সাহায্যও। শুক্রবার স্কুল কর্তৃপক্ষ, পুলিশ ও অভিভাবকদের নিয়ে একটি বৈঠকও হয়।
নাদনঘাট থানার চাঁপাহাটি কেপিসি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শ্রেণিকক্ষের ভিতর পাঁচদিন আগে অদ্ভুত ধরনের অশরীরীর দেখা মেলে বলে দাবি ষষ্ঠ শ্রেণির তিন পড়ুয়া। হিংস্র চোখমুখ, লম্বা লম্বা ঝাঁকড়া চুল, হাতে রক্তমাখা ছুরি দেখেই তারা চিৎকার করে ওঠে। তা শুনেই শিক্ষিকারা ছুটে গেলেও অশরীরীর দর্শন মেলেনি।
অথচ আতঙ্কে স্কুলে পড়ুয়াদের উপস্থিতি ক্রমশ কমছে। স্কুলের পক্ষ থেকে বিষয়টি থানা ও অবর বিদ্যালয় পরিদর্শককে জানানো হয়। আতঙ্ক কাটাতে শুরু হয় কাউন্সেলিংও। পরে পড়ুয়াদের উপস্থিতি বাড়লেও আতঙ্ক কমেনি। শৌচালয়, শ্রেণীকক্ষে একা একা যেতে চাইছে না কেউ। যদিও এই ঘটনা হনুমানের উৎপাত হতে পারে বলে মনে করছেন স্কুলের এক শিক্ষিকা। তাঁর দাবি, অনেক সময় বাইরে থেকে কাপড় জামা এনে স্কুলের ভিতর হনুমান এসে ফেলে যায়। তেমনই কিছু হতে পারে। প্রধান শিক্ষিকা অনন্যা বিশ্বাস বলেন, “শ্রেণিকক্ষের মধ্যে অদ্ভুত দৃশ্য দেখে ষষ্ঠ শ্রেণীর তিন ছাত্রী চিৎকার করলে আমরা তা শুনেই ছুটে যাই। কিছুই দেখতে পাইনি। যদিও ছাত্রীদের কাউন্সেলিং করে আশ্বস্ত করা হয়। সকলেই স্কুল আসছে। নিরাপত্তার কথা ভেবে স্কুলে সিসি ক্যামেরা বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।”
স্কুল পরিচালন কমিটির সভাপতি অলোক বিশ্বাস বলেন, “ছাত্রীদের আতঙ্ক কাটাতে বিজ্ঞানমঞ্চের সাহায্য নেওয়া হবে।” বিজ্ঞানমঞ্চের জেলা সম্পাদক আশুতোষ পাল বলেন, “অশরীরী বা ভূত বলে কিছু নেই। অতিরিক্ত পরিমাণে মোবাইল, টিভিতে ভূতের সিরিয়াল দেখার ফলে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। স্কুল চাইলে আমরা গিয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে গিয়ে কথা বলতে পারি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.