অরূপ বসাক, মালবাজার: ভূতুড়ে ঢিলের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে মালবাজার মহকুমার ওদলাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের দেবীপাড়া এলাকায়। সোমবার রাত ১০টা নাগাদ অজস্র ঢিল পড়া শুরু হয় এই গ্রামে। আর এতেই গ্রামের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান এলাকার প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য দিলীপ চৌধুরি। কিন্তু তাঁর সামনেই ঢিল পরতে থাকে গ্রামের বেশ কিছু বাড়িতে। দিলীপবাবু বলেন, এই ঢিল বেশ কয়েকজন গ্রামবাসীর লেগেছে কিন্তু কোথা থেকে এই ঢিল এসে পড়ছে, তার কোন হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। ঘরের চালে একের পর এক ঢিল এসে পড়ছে। আতঙ্কে ঘর ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে পড়েছেন গ্রামের মানুষ। তবে সব থেকে ভীত হয়ে পড়েছেন গ্রামের ছোট ছোট ছেলেমেয়ে এবং মহিলারা।
[পড়ুয়াদের মুখে হাসি ফোটাতে গাঁটের কড়ি খরচ করে ইলিশ খাওয়ালেন শিক্ষকরা]
গ্রামের এক যুবক কৌশিক সরকার বলেন, ‘আমাদের বাড়ির বারান্দার পাশে আমি এক ব্যক্তিকে বসে থাকতে দেখি। কিন্তু নিমেষের মধ্যে অদৃশ্য হয়ে যায় ওই ব্যক্তি আর এতে আমরা আরও ভীত হয়ে পড়ি। এই ভাবে একের পর এক ঢিল বাড়ির চালে এসে পড়ছে কিন্তু কারা মারছে তা দেখা যাচ্ছে না।’ খবর পেয়ে তড়িঘড়ি রাতেই ছুটে আসে মালবাজার পুলিশ। পুলিশকর্মীরা গ্রামের আশেপাশে ঘুরে দেখেন। যে ঢিলগুলো গ্রামে এসে পড়েছিল সেগুলো দেখেন পুলিশ আধিকারিকেরা। তবে পুলিশ বেশ কিছুক্ষণ গ্রামে টহল দেয়। পুলিশ চলে গেলে আবার ঢিল পড়া শুরু হয় বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ। এলাকার এক মহিলা বলেন, ‘খুব ভয়ে রয়েছি আমরা। বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে এই আতঙ্কে রাত কীভাবে কাটাব বুঝতেই পারছি না।’
তবে আশ্চর্যের বিষয় এলাকার দুই মদ্যপ যুবক সুজিত সরকার এবং বিমল সরকার খবর করতে বাধা দিচ্ছিল। তাঁদের অভিযোগ, এই খবর করলে গ্রামের বদনাম হবে। যদি কোনও চোর গ্রামে ঢুকেই থাকে তারাই ধরবে চোরকে। আর এতেই হতবম্ব হয়ে পড়ে গ্রামের মানুষ। সাংবাদিকদের গালিগাল করতে থাকে, যাতে সাংবাদিকরা খবর করতে না পারে। এলাকার মানুষদের একটাই প্রশ্ন? তর্কের খাতিরে যদি ওই দুই যুবক চোর ধরবেই, তাহলে জাতীয় সড়কের ওপর ঘোরাঘুরি করছিল কেন? পঞ্চায়েত সদস্য দিলীপ চৌধুরির সাথে উচ্চস্বরে তর্ক করতে থাকেন ওই দুই যুবক। কেন ওই দুই যুবক আগে পুলিশকে খবর দেননি? কেন গ্রামের মানুষের পাশে দাঁড়াননি ওই দুই যুবক?
[কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যা, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসে অভিযুক্ত শিক্ষক]
সাংবাদিকরা খবর দিলে পুলিশ এসে এলাকায় টহল দেয়। এতে কিছুটা নিরাপত্তাবোধ করেন গ্রামের মানুষেরা। মাল থানার ওসি অনিন্দ্য ভট্টাচার্য বলেন, কেন ওই দুই যুবক এত মাথা ঘামাচ্ছিলেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি সাংবাদিকদের কেন বাধা দেবেন তাঁরা সেটাই দেখা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.