বাবুল হক, মালদহ: আসি-যাই-মাইনে পাই এখন অতীত। অথচ কর্মক্ষেত্রে শিশু শিক্ষাকেন্দ্রে না গিয়েই বাড়িতে বসে বসে সাম্মানিক ভাতা তুলছেন এক শ্রেণির সহায়িকারা। এমনই অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওল্ড মালদহ ব্লক প্রশাসনে। শিশু শিক্ষাকেন্দ্রে অনুপস্থিত থাকা সত্ত্বেও ওই সহায়িকাদের সাম্মানিক জমা হচ্ছে তাঁদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। ওল্ড মালদহ পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের রশিলাদহ এলাকার শিশু শিক্ষাকেন্দ্র নিয়ে এমনই অভিযোগ তুলেছেন গ্রামবাসীরা।
[ খাবারের প্যাকেটে উড়ো চিঠি, ফিল্মি কায়দায় হুমকি তৃণমূল নেতাকে]
স্থানীয় অভিভাবকরা জানিয়েছেন, সেখানে শিশু শিক্ষাকেন্দ্র শুরু হওয়ার পর স্থানীয় কয়েকজন মহিলা নিয়োগপত্র ছাড়াই স্কুল সামলানোর দায়িত্ব পেয়েছিলেন। পরে সেখানে নিয়ম মেনে সহায়িকা নিয়োগ হলেও পুরনোরাও থেকে যান। অভিযোগ, নবনিযুক্ত সহায়িকারা যে সাম্মানিক পান, তা তাঁদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা পড়ছে। নিয়োগ হওয়া সহায়িকাদের মধ্যে তিনজন শিক্ষাকেন্দ্রে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন। এই অবস্থায় একাই স্কুলের সমস্ত দায়িত্ব সামলাচ্ছেন মিনতি কুণ্ডু নামে এক সহায়িকা। মিনতিদেবী বলেন, “এখানে শিশু শিক্ষাকেন্দ্র শুরু হওয়ার পর স্থানীয় চার-পাঁচ জন মহিলা এই কেন্দ্রের দায়িত্ব সামলাতেন। তারপরে আমাদের নিয়োগ করা হয়। অলিখিতভাবে পুরনোরাও কেন্দ্রে থেকে যান। প্রায় দেড় বছর ধরে গরহাজির তিনজন সহায়িকা। কিন্তু তাঁরা নিয়মিত সাম্মানিক পেয়ে যাচ্ছেন।” এই অবস্থায় মিনতিদেবীর একার পক্ষে শিশু শিক্ষাকেন্দ্র চালানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন অভিভাবকরা।
ওল্ড মালদহ পুরসভার স্থানীয় কাউন্সিলর সুজন সাহা বলেন, “পুরসভা এলাকার প্রথম সারির শিশু শিক্ষাকেন্দ্রগুলির মধ্যে আমার ওয়ার্ডের রশিলাদহ কলোনি অন্যতম। এখানে চারজন সহায়িকা রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে তিনজন বছর দেড়েক ধরে শিক্ষাকেন্দ্রে আসেন না। শিক্ষাকেন্দ্রে না এসেও তাঁদের সাম্মানিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে চলে যাচ্ছে। সমস্ত ঘটনা আমি পুরসভা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।” ওল্ড মালদহ পুরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষ বলেন, “এবিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ছবি: প্রতীকি
[তিন চাকাতেই ভারত দর্শন, রিকশা করেই সাগর সঙ্গমে সত্যেন্দ্র]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.