Advertisement
Advertisement

Breaking News

Ghatal

ঘাটালে সমীক্ষক দলে স্ত্রী, আবাসে বাড়ি পেতে কর্তার ঠিকানা গোয়ালঘর!

একতলা পাকা বাড়ি শুধু নয়, অভিযুক্তের বাড়িতে রয়েছে টিভি, ফ্রিজও।

Get Awas Yojana's house, person living in cowshed in Ghatal

এই সেই বিতর্কিত বাড়ি। ছবি: সুকান্ত চক্রবর্তী

Published by: Suhrid Das
  • Posted:January 24, 2025 6:12 pm
  • Updated:January 24, 2025 6:12 pm  

শ্রীকান্ত পাত্র, ঘাটাল: পাকা বাড়ি পেতে গোয়ালঘরকে থাকার জায়গা হিসাবে দেখাতে হবে! সমীক্ষক দলও তাঁর কথাকে সত‌্য বলে মেনে নিয়ে দিব্যি আবাস তালিকায় নাম তুলে দিলেন। আর হবে নাই বা কেন? সমীক্ষক দলের সদস‌্য যদি হয় ওই ব‌্যক্তির স্ত্রী, তা হতে কতক্ষণ? ঘটনায় তোলপাড় দাসপুর। অভিযোগ, যাকে আবাস-সমীক্ষা করতে দেওয়া হয়েছিল তিনি-ই কিনা নিজের পরিবারের নাম আবাস তালিকায় তোলালেন। এমনই ঘটনা ঘটল দাসপুর এক নম্বর ব্লকের চিহিচেতুয়া গ্রামে।

অভিযোগ পেয়েই তদন্তের নির্দেশ দিলেন দাসপুর এক নম্বর ব্লকের বিডিও দীপঙ্কর বিশ্বাস। তিনি বলেন, “অভিযোগ প্রমাণিত হলে কড়া ব‌্যবস্থা নেওয়া হবে। তদন্ত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” অভিযোগে প্রকাশ, দাসপুর ১ নম্বর ব্লকের দাসপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ডিহিচেতুয়া গ্রামের বাসিন্দা বামাপদ চাকী। তাঁর আবাস যোজনার প্রাপক তালিকায় নাম ঘিরেই চাঞ্চল‌্য ছড়িয়েছে। কারণ, বামাপদবাবুর নিজের একতলা পাকা বাড়ি রয়েছে। তাঁর একমাত্র ছেলে সোনার কারিগর, ভিন রাজ্যে থাকেন। শুধু তাই নয়, বামাপদবাবুর স্ত্রী রিঙ্কু চাকী একজন আশাকর্মী। দাসপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে আবাস তালিকার সমীক্ষার জন‌্য টিম তৈরি হয়েছিল। সেই টিমের সদস‌্য ছিলেন তিনি।

Advertisement

অভিযোগ, নিজের পাকা বাড়ির তথ‌্য গোপন করে গোয়ালঘরকে বসতবাড়ি দেখিয়ে নিজের স্বামীর নাম তালিকায় তুলে দেন রিঙ্কুদেবী। প্রশ্ন উঠেছে, নিজে একজন সমীক্ষক দলের সদস‌্য হয়েও পাকা বাড়ির কথা গোপন করে নিজের স্বামীর নাম আবাস তালিকায় অনুমোদন করালেন কিভাবে? ঘটনার জেরে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে ডিহিচেতুয়া গ্রামে। দাসপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান লাল্টু চক্রবর্তী বলেন, “অভিযোগ একশো ভাগ সত্য। আমি বিডিওকে ওই ব‌্যক্তি শুধু নন, ওঁর স্ত্রী রিঙ্কুর বিরুদ্ধেও কড়া ব‌্যবস্থা নিতে বলেছি। এর ফলে এলাকায় একটা ভুল বার্তা গিয়েছে গ্রাম পঞ্চায়েত সম্বন্ধে।”

বামাপদ চাকী বলেন, “আমার স্ত্রীর সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভালো নয়। ছেলের সঙ্গেও সম্পর্ক ভালো নয় আমার। আর যে পাকা বাড়ির কথা বলছেন, ওই বাড়িতে আমি থাকি না। আমার স্ত্রী থাকেন। আমার স্ত্রী একজন আশাকর্মী বলে জানি।” তিনি আরও বলেন, “বাড়ির জন‌্য আমি ব্লকে আবেদন করেছিলাম। আমার আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। বাড়ির প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকাও পেয়েছি। বাড়ির কাজ শুরু করে দেব।”

আগে ওই ঘরে গরু রাখা হত। সেখানে এখন তিনি থাকেন। বিতর্কের কথা বলায় বামাপদবাবু বলেন, “তাহলে আমি টাকা ফেরত দিয়ে দেব।” জানা গিয়েছে, বামাপদবাবুর একতলা পাকা বাড়ি শুধু নয়, বাড়িতে রয়েছে টিভি, ফ্রিজ-সহ একাধিক জিনিস।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
News Hub