সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: ইস্পাত কারখানা থেকে নির্গত বিষাক্ত গ্যাসে গুরুতর অসুস্থ তিনজন কর্মী। আতঙ্ক ছড়াল দুর্গাপুরে।দু’জনকে ভরতি করা হয়েছে হাসপাতালে। এই ঘটনার পরই কারখানার রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কর্মীরা।
[নিখোঁজ গৃহবধূর গলাকাটা দেহ উদ্ধার, খেজুরিতে চাঞ্চল্য]
শিল্পশহর দুর্গাপুরে কল-কারখানার অভাব নেই। শুক্রবার সকালে দুর্গাপুরের ইস্পাত কারখানায় কাজ শুরু হতেই ঘটে বিপত্তি। শ্রমিকরা জানিয়েছেন, কারখানার চার নম্বর গেটের কাছে ব্লাস্ট ফার্নেসে সমস্যা দেখা দেয়। ফার্নেস থেকে গলগল করে বেরোতে শুরু করে গন্ধহীন বিষাক্ত গ্যাস। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তড়িঘড়ি ব্লাস্ট ফার্নেসে আগুন ধরিয়ে দেয় কারখানা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তাতে পরিস্থিতি আরও ঘোরাল হয়ে ওঠে। ব্লাস্ট ফার্নেসের নিচে গ্যাস ঘনীভূত হয়ে যায় এবং দ্রুত কারখানার অন্য বিভাগেও তা ছড়িয়ে পড়তে থাকে। বিষাক্ত গ্যাস শরীরে প্রবেশ করায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার তিনজন কর্মী। তড়িঘড়ি তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়৷ তবে বাকি দু’জন এখনও হাসপাতালে ভরতি। প্রায় ঘণ্টা তিনেকের চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এদিকে এই ঘটনার কথা জানজানি হতেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায়। ভয় পেয়ে যান কারখানা লাগোয়া এলাকার বাসিন্দারাও। গ্যাস লিকের জন্য দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা বা ডিএসপি কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করেছেন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা। তাঁদের বক্তব্য, কারখানার মেশিনগুলি ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় না। দীর্ঘদিন ধরেই পাইপগুলি বেহাল। বহুবার বলা সত্ত্বেও পাইপগুলি মেরামতির কোনও উদ্যোগ নেয়নি ডিএসপি কর্তৃপক্ষ। ঘটনার তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটিও।
ছবি: উদয়ন গুহ
[সবুজসাথী প্রকল্পের সাইকেলে চেপে বাংলা ভ্রমণে জলপাইগুড়ির যুবক]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.