শ্রীকান্ত পাত্র, ঘাটাল: সমাজ কল্যাণমূলক কাজের উদ্দেশে সোশাল মিডিয়ায় (Social Media) যোগাযোগ। এর পর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যোগদান, কাজের দায়িত্ব দেওয়া। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার জেলা সংগঠন তৈরি ও বিস্তার করার নির্দেশ। সেইমতোই কাজ চলছিল। তাল কাটল ১৩ তারিখ, লোকসভায় গ্যাস হামলার (Gas attack in Parliament) ঘটনা। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের হিমাংশুশেখর মান্না এখন ভয়ে তটস্থ। তিনিও যে জড়িয়ে পড়েছেন। হামলার অন্যতম অভিযুক্ত ললিত ঝা যে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত, হিমাংশুও তারই সদস্য। শুধু সদস্যই নন, ‘সাম্যবাদী সুভাষ সভা’র পশ্চিম মেদিনীপুরে সংগঠন বৃদ্ধির দায়িত্বও ছিল তাঁর উপর। ১৩ তারিখের ঘটনার পর তিনি সংস্থার হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) গ্রুপ ছেড়েছেন। বলছেন, ”বুঝতেই পারিনি ওরা এমন কাণ্ড ঘটাবে, আমি ভয় পাচ্ছি।”
ললিত ঝা, নীলাক্ষ আইচরা ‘সাম্যবাদী সুভাষ সভা’র সঙ্গে যুক্ত। জেলায় জেলায় তাদের কাজ হয়। পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রামের পাশাপাশি তাদের সংগঠন বিস্তারের কাজ চলছিল পশ্চিম মেদিনীপুরও (West Midnapore)। ঘাটালের দাসপুর এলাকার যুবক হিমাংশুশেখর মান্নাকে দেওয়া হয়েছিল সেই দায়িত্ব। মাস কয়েক আগে সামাজিক মাধ্যমে যোগাযোগ করা হয় দাসপুরের ল ক্লার্ক হিমাংশুশেখর মান্নার সঙ্গে। দাসপুর, ঘাটাল-সহ আশেপাশের এলাকার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল হিমাংশুকে।
তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে জানান, এলাকার উন্নয়নমূলক কাজের জন্য তহবিল তৈরি করতে বলা হয়েছিল তাঁকে। ললিত ঝা যে সংসদে হামলার মতো এত বড় ঘটনা ঘটাতে পারে, তার বিন্দুবিসর্গও টের পাননি হিমাংশু। টিভিতে সংসদ হামলার খবর দেখানোর পরেই ভয় পেয়ে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে যায় হিমাংশু।
একইভাবে মেদিনীপুর শহরেও টার্গেট করা হয় মনীশ মাইতি নামে এক যুবককে। শনিবার রাতে মেদিনীপুর শহরে ডিরোজিও নগরে মনীশের বাড়ি গিয়ে দেখা গেল, বাড়িতে তালা। ঠিক এই ভাবেই ‘সাম্যবাদী সুভাষ সভা’ নিজেদের জাল বিস্তারের চেষ্টা করছিল পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। এই সংগঠনের আসল উদ্দেশ্য কী বা সমাজ সেবার আড়ালে কোন বিশেষ উদ্দেশ্য এই সংগঠনের, তা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.