ছবি: প্রতীকী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রীতিমতো গর্বের সুরে ঘোষণা, ‘চারটে খুন করেছি।’ সংবাদমাধ্যম তার কুকর্মের হালহকিকত জিজ্ঞেস করতেই নির্বিকার চিত্তে ধৃত আততায়ীর এই জবাব। যা শুনে খানিকটা তাজ্জব বনে গেলেন পুলিশ অফিসাররাও। রবিবার উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 parganas) গোবরডাঙা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া বিহারের (Bihar) কুখ্যাত গ্যাংস্টার রাহুল সাহানিকে নিয়ে বেশ চর্চা শুরু হয়েছে পুলিশ মহলে। আজ তাকে বারাসত আদালতে পেশ করে ট্রানজিট রিমান্ডে বিহার নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে খবর।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মাস খানেক আগে গোবরডাঙায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়েছিল বিহারের বাসিন্দা রাহুল সাহানি। তাতে কারও কোনও সন্দেহ হয়নি। চুপিসাড়েই সে নিজে কুকীর্তি চালিয়ে যাচ্ছিল। এরপর গত সপ্তাহে স্থানীয় এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর থেকে মোটা অঙ্কের টাকা চেয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে রাহুলের বিরুদ্ধে। ব্যবসায়ীর সন্দেহ হওয়ায় তিনি পুলিশে খবর দেন। তার ভিত্তিতে পুলিশ তদন্তে নামে।
অন্যদিকে, বিহারেও ‘খুনি’ রাহুলের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। সেখানকার অন্তত তিনটি থানার পুলিশ একযোগে রাহুলের সন্ধানে ছিল। রাহুল সাহানি বাংলায় গা ঢাকা দিয়েছে, গোপন সূত্রে এই খবর পেয়ে রাজ্য পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিহারের ওই তিন থানার পুলিশ। এরপর গোবরডাঙার পুলিশের কাছে গোটা বিষয়টি অনেকটা স্পষ্ট হয়ে যায়। তথ্যতালাশ করে জানা যায়, গোবরডাঙা এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে গোপনে অপারেশন চালাত রাহুল সাহানি। ১০, ১২ জনের একটি দল নিয়ে চলত কুকর্ম। এছাড়া তোলাবাজি, অপহরণের মতো অপরাধমূলক কাজের সঙ্গেও সে যুক্ত।
এরপরই রবিবার ভোরে বিহারের ৩ থানার পুলিশ, রাজ্য পুলিশের সহায়তায় গোবরডাঙা থেকে গ্রেপ্তার করে রাহুলকে। তাকে পুলিশ ভ্যানে তোলার সময় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সে জানায় – ‘চারটে খুন করেছি।’ বিপুল অপরাধের কীর্তি ধরা পড়ে যাওয়ার পরও দুষ্কৃতী এত ঠান্ডা কীভাবে? সংশয়ে তদন্তকারীরা। বিহার পুলিশ সূত্রে খবর, রাহুলই এক বড়সড় চক্রের পান্ডা। তবে তাকে আরও বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করে এর নেপথ্যে কে বা কারা রয়েছে, আরও কোন কোন অপরাধের সঙ্গে জড়িত সে, তা জানতে তৎপর বিহার পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.