ছবি: প্রতীকী
রাজা দাস, বালুরঘাট: জন্মের পর থেকে হাসপাতালই বাড়ি সাত মাসের খুদের। পরিবার বলতে হাসপাতালের কর্মীরাই। ডাক্তার, নার্স থেকে শুরু করে সকলের আদরেই বেড়ে উঠছে শিশুটি। এবার প্রথা মেনে ওই শিশুপুত্রের অন্নপ্রাশন করলেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীরা। নার্স আয়াদের কোলেপিঠে বড় হতে থাকা শিশুটিকে নিয়েই আবেগ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতালে। এভাবেই ছেলেটিকে বড় করে তুলতে চান স্বাস্থ্যকর্মী থেকে হাসপাতালের সকলেই। শিশুটির জন্য একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে সকলেই বদ্ধপরিকর।
[মায়ের কথা মনে পড়ে গেল, বৃদ্ধার সাহায্যার্থে এই কাজটাই করলেন পুলিশ আধিকারিক]
জানা গিয়েছে, মালদহ জেলার গাজোলের বাসিন্দা রেহেনা পারভিন মানসিক ভারসাম্যহীন। মাস সাতেক আগে গাজোল এলাকার এক গ্রামের রাস্তার ধারে পড়েছিলেন ওই মহিলা। প্রচণ্ড পেটব্যথায় কাতর অন্তঃসত্ত্বা ওই মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলাকে স্থানীয়রা নিয়ে আসেন গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতালে। এখানেই একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দেন তিনি। মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় ওই মহিলার স্থায়ী ঠিকানা হয় গঙ্গারামপুর হাসপাতালের মানসিক বিভাগ। তাঁর পুত্র সন্তানটিই সেখানকার নার্স, আয়া, চিকিৎসক ও অনান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের কোলেপিঠে বড় হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শিশুটির নাম দিয়েছে সাহেব। তার বয়স এখন সাত মাস।
বৃহস্পতিবার কর্তৃপক্ষই সাহেবের অন্নপ্রাশন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের পঞ্চমতলায়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হাসপাতাল সুপার অমলকৃষ্ণ রায়, গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতের সরকারি আইনজীবী চিরঞ্জীব মিত্র-সহ হাসপাতালের অন্যান্য বিভাগের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। সেখানে ভোজনের পাশাপাশি শিশুটিকে নানাবিধ উপহার দেন সকলে। হাসপাতাল সুপার অমলকৃষ্ণ রায়, চিকিৎসক অভিজিৎ ভৌমিক বলেন, জন্মের পর থেকে শিশুটি তাঁদের তত্ত্বাবধান। নিজের সন্তানের থেকে কম কিছু সে নয়। তার ভালমন্দের দিকে নজর রয়েছে সকলের। ছেলেটিকে সঠিক ভাবে বড় করে তোলার পাশাপাশি একজন মানুষ হিসেবে গড়তে চান তাঁরা।
[শিলিগুড়িতে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর জন্য আলাদা শপিং মল, অভিনব উদ্যোগ এসজেডিএ-র]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.