সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বছর কুড়ির বাবাই বছর খানেক আগে আজকের দিনেই মারা যায়। অরিন্দম মিত্রর একমাত্র সন্তান ছিলেন বাবাই। খেতে ভালবাসত খুব। ভালবাসত খাওয়াতেও। প্রত্যেক বছর জন্মদিনে বাবাই নিজেও খেত, খাওয়াত এলাকার লোকজনদের ও বন্ধু-বান্ধবদের। এই ভাবেই প্রত্যেক বছর বাবাইয়ের জন্মদিন পালন করতেন বাগুইআটি নিবাসী অরিন্দম মিত্র। গত বছর গণেশ চতুর্থীর দিনে বাবাই আত্মহত্যা করে। আজ তাঁর মৃত্যুর এক বছর। ছেলে মারা যাবার পর ১৫০ জন অনাথ শিশুর দায়িত্ব তুলে নিয়েছেন অরিন্দমবাবু নিজের কাঁধে। তাই গণেশ চতুর্থীতে (Ganesh Chaturthi 2020) অনাথ আশ্রমে হল ভুরিভোজ। গণেশ সেজে আনন্দে মেতে উঠল কচিকাঁচারা।
আজ গণেশ চতুর্থী। বাবাই নেই। ছিল বাবাইয়ের ফটো। হয়তো ফটো থেকেই সব দেখতে পাচ্ছে এই ভাবেই। শুধু প্রাণটাই নেই ফটোতে। উত্তর ২৪ পরগনার বীরপুর গ্রামে ডেভিডের অনাথ আশ্রমে থাকে অরিন্দমবাবুর ১৫০ জন ছোট ছোট বাবাইরা। ছেলের শোক কিছুটা বুঝতে পেরেছেন অরিন্দমবাবু ওদের মুখে হাসি দেখে। ছেলে যে খাবারগুলো খেতে ভালবাসত এদিন এই দেড়শ জনের মধ্যে অরিন্দমবাবু পাত পেড়ে করলেন তারই আয়োজন। ছোট ছোট বাবাইদের সাজ পোশাক অন্যদিনের থেকে একটু অন্যরকম। গণেশ চতুর্থী বলে কথা। শিশুদের মুখে দেখা গেল গণেশের মাস্ক। সামনে প্লেটে সাজানো রকমারি মোদক। এভাবেই গণেশ চতুর্থীতে বাবাইয়ের মৃত্যুতিথিতে পালন হল গণেশদের ভুরিভোজ।
অরিন্দমবাবুর কথায়, “ছোট ছোট শিশুদের মধ্যেই আমি খুঁজে পাই আমার বাবাইকে। আজ, গণেশ চতুর্থীতে চার দেওয়ালের মধ্যে ওরা আটকা। তাই ওদের সঙ্গে একটু আনন্দঘন মূহূর্ত কাটানোর চেষ্টা করলাম। সবকিছু ভুলে আর ওদের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করেছিলাম গণেশ সাজিয়ে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.