শ্রীকান্ত পাত্র, ঘাটাল: লক্ষ্মী ভাণ্ডারে গোলযোগ! নিজের কাগজপত্র দিয়ে সরকারের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রকল্পে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু চার বছর কেটে গেলেও টাকা পাচ্ছেন না! দীর্ঘদিন সরকারি দপ্তরে ছোটাছুটির পর জানতে পারলেন, তাঁর লক্ষ্মী ভাণ্ডারের আবেদন চার বছর আগেই গৃহীত হয়েছে। কিন্তু টাকা যাচ্ছে, অন্য গ্রামের একই নামের এক মহিলার ব্যাঙ্কের খাতায়।
কী কারণে এই সমস্যা? বিডিও সৌমেন্দু পালের সাফাই প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে এমনটা হয়েছে। শুধু কী তাই? উঠছে সরকারি কাজে গাফিলতির প্রশ্নও। গৃহবধূর স্বামী জানিয়েছেন সমস্যার সুরাহা না হলে মামলা দায়ের করবেন। সমাধানের চেষ্টা চলছে জানিয়েছেন বিডিও।
পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণা ১ ব্লকের বেড়াবেরিয়া গ্রামের বাসিন্দা সাবানা খাতুন। ২০২১ সালে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য আবেদন করেন। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেন। তবে দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও টাকা পাননি সাবানা। স্থানীয় স্তরে বিষয়টি জানান তিনি। তবে সমাধান মেলেনি।
অবশেষে বিডিও অফিসে যান তিনি। তখন জানা যায়, তাঁর নামে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চালু রয়েছে। তবে একই নামে অন্য গ্রামের এক মহিলার অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকছে। সুরাহার জন্য দু’জনকেই ডেকে পাঠান বিডিও। অন্য গ্রামের সাবিনা খাতুনকে বলা হয় নাম কাটিয়ে, নতুন করে আবেদন করতে। কিন্তু এখন বেঁকে বসেছে তিনি। এতএব, বেড়াবেড়িয়া গ্রামের সাবানা খাতুনের টাকা তিনি পাচ্ছেন, সঙ্গে পাচ্ছেন নিজের নামের টাকাও। সমস্যা যে তৈরি হয়েছে তা মেনে নিয়েছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সম্পা মণ্ডলও বিষয়টি মেনে নিয়েছেন।
প্রশ্ন উঠছে সত্যি কী প্রযুক্তিগত কারণ না কি, সরকারি কাজে গাফিলতি। কাঁর বা কাঁদের গাফিলতিতে প্রকল্প থেকে বঞ্চিত বাংলার বধূ। যেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় থেকে প্রশাসনের কর্তারা বারবার সর্তক হতে বলছেন। তারপরও কেন এই অবস্থা? উঠছে প্রশ্ন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.