Advertisement
Advertisement
বিমল গুরুং

দোলের দিন ভিডিও বার্তা বিমল গুরুংয়ের, তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ডাক

লোকসভা নির্বাচনের আগে পাহাড়ে নিজের অস্তিত্ব ফিরে পেতে মরিয়া বিমল গুরুং।

Fugitive GJM leader Bimal Gurung releases Video message
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:March 21, 2019 3:37 pm
  • Updated:March 21, 2019 3:54 pm  

শুভদীপ রায়নন্দী, শিলিগুড়ি: দোলের দিন ফের ভিডিও বার্তা দিয়ে পাহাড়ের পাশাপাশি সমস্ত রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আবেদন জানালেন পলাতক মোর্চা নেতা বিমল গুরুং।

বৃহস্পতিবার দুপুরে অজ্ঞাত স্থান থেকে একটি ভিডিও বার্তা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেন বিমল গুরুং। রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে সমস্ত রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি মোর্চা বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকেও একত্রিত হওয়ার আবেদন জানান গুরুং। শুধু তাই নয়, তৃণমূলের পাহাড় শাখার চার নেতাকেও তৃণমূল ছেড়ে বেরিয়ে গিয়ে সহযোগিতার জন্য আবেদন করেন তিনি। তাঁর এই ভিডিও বার্তায় ফের একবার পাহাড়ের রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পরে গিয়েছে। ভিডিওতে গোর্খাদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে বিমলপন্থী মোর্চা ও জিএনএলএফের জোট হওয়ার পাশাপাশি হরকা বাহাদুরের জন আন্দোলন পার্টি, প্রতাপ খাতির গোর্খা লিগ, ন্যাশনাল গোর্খাল্যান্ড কমিটির পাশাপাশি সিপিএম, কংগ্রেসকেও তাদের সমর্থন জানানোর আবেদন করেছেন তিনি। তবে এদিনের ভিডিও বার্তায় তৃণমূলের পাহাড় শাখার চার নেতার নাম বিমল গুরুং বলায় দলেরই অন্দরে সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। এদিনের ভিডিও বার্তায় তৃণমূলের পাহাড় শাখার মুখপাত্র বিন্নি শর্মা, প্রাক্তন সভাপতি রাজেন মুখিয়া, মহিলা তৃণমূল পাহাড় শাখার নেত্রী সারদা সুব্বা, এমডি খাওয়াসকের নাম করে আবেদন করেছেন বিমল গুরুং। পাশাপাশি নির্বাচনের আগে পাহাড়ে ফেরত আসারও আশ্বাস দিয়েছেন বিমল গুরুং।

Advertisement

রাজনৈতিক মহলের ধারনা অনুযায়ী, সুভাষ ঘিসিংয়ের পর পাহাড়ে একচ্ছত্র রাজ ছিল মোর্চার। গাছের পাতা পর্যন্ত বিমল গুরুংয়ের অনুমতি ছাড়া নড়তে পারত না। কিন্তু পৃথক রাজ্য নিয়ে টানা ১০৫ দিনের আন্দোলনের পর পাহাড়বাসী বিরক্ত হয়ে তাদের সেই দাবি থেকে সরে এসেছে। তারা এখন উন্নয়ন চায়। আন্দোলনের পর থেকে পাহাড় ছেড়েছেন বিমল গুরুং, রোশন গিরিরা। পাহাড় ছাড়ার সঙ্গে তাঁদের সাংগঠনিক শক্তিরও অবক্ষয় ঘটে যায়। রাশ ধরেন বিনয় তামাং ও অনিত থাপা। সেই জন্য লোকসভা নির্বাচনের আগে পাহাড়ে নিজের অস্তিত ফিরে পেতে মরিয়া বিমল গুরুং। কিন্তু সাংগঠনিক শক্তি না থাকায় বাকি রাজনৈতিক দলের জোটের উপর সওয়ার হয়েই দলের নৌকা পার করতে চাইছেন তিনি। বার্তায় তিনি বলেন, “রাজ্যের টাকা খান, হজম করুন, কিন্তু ভোট মোর্চার পক্ষে দিন।” তবে গুরুংয়ের এই বক্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ শাসক দল ও বিনয় তামাংরা। তাদের বক্তব্য আড়ালে থেকে রাজনীতি করা যায় না। মানুষের সঙ্গে না থেকে প্রভাবিত করাটা কাপুরুষদের কাজ।

[সর জীবনে মানুষের মধ্যেই রং খুঁজছেন সর্বকনিষ্ঠ তৃণমূল প্রার্থী রূপালি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement