Advertisement
Advertisement

ফের সংঘর্ষে উত্তাল বসিরহাট, মূল অভিযুক্তর জেল হেফাজত

আজ বসিরহাটে যাবে বাম ও বিজেপির প্রতিনিধি দল...

Fresh violence in Basirhat, main accused sent to jail custody
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 7, 2017 3:52 am
  • Updated:July 7, 2017 3:55 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় দেড় দিন মোটামুটি শান্ত থাকার পর আচমকাই ফের অশান্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠল বসিরহাটে। সংবাদ সংস্থা ANI সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে শহরের বেশ কয়েকটি এলাকায় ফের উত্তেজনা শুরু হয়। রাস্তার মোড়ে-মোড়ে শুরু হয় জমায়েত। লাঠি হাতে জমায়েতে যোগ দেন মহিলারাও। চলে রাস্তা অবরোধ। প্রশাসনকে লক্ষ্য করে এদিনও ছোড়া হয় ইট-বোমা। ভাঙচুর চালানো হয় পুলিশের গাড়িতে। আক্রান্ত হন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী। বাদ যায়নি সংবাদমাধ্যমও। পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখছে প্রশাসন। কর্তাদের আশ্বাস, এলাকায় শান্তি ফেরাতে সবরকম উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

[শিশু-অন্তঃসত্ত্বাদের মুখে খাবার তুলে সম্প্রীতির বার্তা বসিরহাটের বাসিন্দাদের]

এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার বিজেপি ও বামেদের প্রতিনিধি দল যাচ্ছে বসিরহাটে। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার রাতেই সব রাজনৈতিক দলের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, অশান্তি এড়াতে এখন যেন কেউ বসিরহাটে না যান। অন্যদিকে, যে কিশোরের ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরে উত্তাল বসিরহাট, তাকে আদালতে তোলা হলে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি, বুধবার দুষ্কৃতীদের ধারাল অস্ত্রের কোপে গুরুতর আহত কার্তিক ঘোষের মৃত্যু হয়েছে। কার্তিক ঘোষকে নিজেদের কর্মী বলে দাবি করেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। গোটা ঘটনার প্রেক্ষিতে একটি বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠনের দাবিতে কলকাতা হাই কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছে বিজেপির লিগ্যাল সেল। ঘটনার সত্যতা যাচাই, সংঘের্ষ ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ ও এলাকায় শান্তি ফেরানোর জন্য যথাযথ উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে মামলায়।

[দাঙ্গায় উসকানি, রাজ্যে ‘নিষিদ্ধ’ হতে চলেছে কয়েকটি হিন্দু ও মুসলিম সংগঠন]

মঙ্গলবার রাত থেকেই একটু একটু করে উত্তপ্ত হতে শুরু করেছিল উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্তবর্তী এই শহর। বুধবার তা চরমে পৌঁছায়। বৃহস্পতিবার পরিস্থতি কিছুটা শান্ত হয়। খুলতে শুরু করে দোকান—পাট, বাজার। এলাকা পরিদর্শনে যান স্থানীয় বিধায়ক দীপেন্দু বিশ্বাস। কিন্তু বেলা গড়াতেই প্রথম অশান্তির খবর আসে ময়লাখোলা এলাকা থেকে। লাঠিসোঁটা হাতে জমায়েত শুরু হয়। রাস্তা অবরোধ, ভাঙচুর শুরু হতেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় যায় বিশাল পুলিশবাহিনী। ছিলেন ডিআইজি তন্ময় রায়চৌধুরি, উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও আইজি অজয় কুমার ও আইপিএস পারভিন সুলতানা—সহ জেলার একাধিক পদস্থ পুলিশ আধিকারিক।

আশান্তি থামাতে কয়েক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। এরপর ক্রমেই উত্তপ্ত হতে শুরু করে গোটা বসিরহাট। খোলাপোতা, ত্রিমোহিনী, নিকিরিপাড়া, কামারডাঙা শিবহাটি, পশ্চিম দণ্ডিহাট, পাউরিপাড়া ও হরিশপুরের মতো এলাকায় গন্ডগোল শুরু হয়। চলে ব্যাপক বোমাবাজি। পুলিশ ও বাহিনী ঢুকতে গেলে প্রবল প্রতিরোধের মধ্যে পড়ে। চারদিক দিয়ে তাদের ঘিরে আক্রমণ করে দুষ্কৃতীরা। জায়গায় জায়গায় সংবাদমাধ্যমের গাড়ি আটকে চালানো হয় ভাঙচুর, লুঠপাট। প্রতিটি গাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। প্রতিটি জায়গা থেকেই দিনভর বোমাবাজির খবর মিলেছে। ভাঙা হয় বেশ কিছু বাড়ি ও দোকানপাট। বাদ যায়নি বিধায়ক দীপেন্দুর বাড়িও। তাঁর বাড়িতেও অবাধে ভাঙচুর চালায় কয়েকশো দুষ্কৃতী। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় তাঁর গাড়িতেও। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনার চেষ্টা করে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement