স্টাফ রিপোর্টার: বসন্ত নিয়ে বাঙালির রোম্যান্টিকতা এবং আবেগ নিয়ে আজ আর কোনও প্রশ্নের অবকাশ নেই৷ কিন্তু সদা ‘আনন্দ-ফুর্তি’-তে মগ্ন বঙ্গবাসীর শীত নিয়েও আগ্রহ এবং কৌতূহল যে অনেকখানি, তা আজ আর কাউকে বলে দিতে হয় না৷ কারণ পুজো মিটতেই শীতকে ঘিরে সপরিবার ভ্রমণ, পিকনিক এবং পার্টির মতো নানা কর্মসূচির পরিকল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে বাঙালির আড্ডায়৷ কিন্তু বুধবার আলিপুর আবহাওয়া অফিস সেই আড্ডার আসরে হতাশার জল ঢেলে দিয়েছে৷ আবহবিদরা জানিয়েছেন, ঘূর্ণাবর্ত ও প্রবল দূষণের কারণে এ বছরও শীত নির্দিষ্ট সময়ের অনেক পরে আসবে৷ কাল থেকে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গে৷ আর শীত দেরিতে আসার পাশাপাশি গরমের দাপট থাকায় এখনও রাজ্যে ডেঙ্গু এবং ভাইরাল জ্বরের প্রকোপ কিছুতেই কমছে না৷ কলকাতা ও জেলার হাসপাতালগুলিতেও গরমের জেরে অসুস্থ রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে৷
আবহাওয়ার এই অদ্ভুত ব্যবহারের জন্য তার প্রভাবও পড়ছে৷ শীতে যে ধরনের খাবার, সবজি পাওয়া যায়, এখনও তার দেখা মেলেনি৷ শীতে যে গুড়ের জন্য মুখিয়ে বসে থাকে বাঙালি, উৎপাদনে ঘাটতি রয়েছে তারও৷ কলকাতায় এখনও আসেনি ভুটিয়ারাও৷ কলকাতায় ময়দান, ওয়েলিংটন-সহ একাধিক জায়গায় এ সময় ভুটানি পোশাকের রমরমা হয়৷ কিন্তু আবহাওয়ার অস্বাভাবিক রদবদলে রীতিমতো চিন্তায় রয়েছেন আবহবিদরা৷ তবে স্কুলে শীতের ছুটির বিষয়ে কোনও সূচিগত পরিবর্তন নেই৷ সেগুলি নিয়মিতই হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে৷
আবহবিদরা জানাচ্ছেন, বাংলা ও ওড়িশা উপকূলে মূলত নিম্নচাপ গভীর হওয়ার জেরেই আবহাওয়ার এই অস্বাভাবিক ব্যবহার৷ যার জেরে শীতের বাংলায় পৌঁছতে দেরি হওয়া৷ এর মধ্যে বাতাসে দূষণের মান বেড়ে যাওয়া নিয়ে চিন্তিত আবহবিদরা৷ এর ফলেও শীতের প্রভাব কমবে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা৷ তাঁরা জানিয়েছেন, কালীপুজোয় হিম তো পড়েইনি, ভাইফোঁটার পরও শীতের কোনও আঁচও মিলবে না৷ শীতের জন্য অপেক্ষা করতে হবে নভেম্বর শেষ হওয়া পর্যন্ত৷ আলিপুর আবহাওয়া দফতরও জানিয়ে দিয়েছে, জাঁকিয়ে শীত তো নয়ই, নভেম্বরে মিলবে না শীতের ন্যূনতম আভাসটুকুও৷ শীতের সময় বাড়বে ঘন কুয়াশার দাপটও৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.