Advertisement
Advertisement

পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের ব্যাগ পাহারা দিচ্ছেন তিন যুবক

ব্যাগ নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সংসদ।

Free bag counter for HS candidates
Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:February 27, 2019 5:06 pm
  • Updated:February 27, 2019 5:06 pm  

ধীমান রায়, কাটোয়া: এ বছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় নজিরবিহীন কড়াকড়ি। ব্যাগ কিংবা জলের বোতল নিয়ে ঢোকা যাবে না পরীক্ষাকেন্দ্রে। কিন্তু, সমস্ত পরীক্ষার্থীদের সঙ্গেই যে অভিভাবক বা বাড়ির কেউ পরীক্ষাকেন্দ্রে যান, এমন নয়। তাই ব্যাগ নিয়ে সমস্যায় পড়েছে অনেকেই। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায় একটি স্কুলের সামনে বিনা পারিশ্রমিকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের ব্যাগ পাহারা দিচ্ছেন এলাকারই তিন যুবক। একেবারে শপিং মলের কায়দায় ব্যাগ জমা রাখার পর পরীক্ষার্থীদের দেওয়া হচ্ছে টোকেনও।

[ প্রেমের টানে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে, গ্রেপ্তার বাংলাদেশি তরুণী]

Advertisement

এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় পরপর সাতদিন প্রশ্নফাঁস হয়ে গিয়েছে। পরীক্ষার শুরুর আধঘণ্টার মধ্যেই প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়েছে হোয়াটসঅ্যাপে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে সিআইডি। মঙ্গলবার থেকে আবার শুরু হয়েছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে প্রশ্নফাঁস রুখতে কড়া পদক্ষেপ করেছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। নির্দেশিকা জারি হয়েছে যে, মোবাইল কিংবা কোনও বৈদ্যুতিন যন্ত্র, এমনকী ব্যাগ-জলের বোতল নিয়েও পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে পারবে না উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা। ধরা পড়লে কড়া শাস্তির কথা ঘোষণা করেছে পর্ষদ। পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে রীতিমতো মেটাল ডিটেকটর দিয়ে তল্লাশি চলছে।

পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া শহরে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা হচ্ছে সাতটি স্কুলে। শহরের কাশীরাম দাস ইনস্টিটিউশন স্কুলে পরীক্ষা দিচ্ছে ৪৯৫ জন পড়য়া। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার ওই স্কুলে ব্যাগ ও জলের বোতল নিয়ে একাই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে এসেছিল বেশ কয়েকজন পরীক্ষার্থী। তাদের সঙ্গে অভিভাবক বা বাড়ির কেউ ছিল না। কিন্ত পর্ষদের নির্দেশিকা অনুযায়ী, ব্যাগ কিংবা জলের তো নিয়ে আর পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকা যাবে না! ফলে সমস্যা পড়ে ওই পরীক্ষার্থীরা। ঘটনাটি নজরে পড়ে এলাকারই যুবক মনোজ প্রামানিক, সোমনাথ কর্মকার ও গণেশ দাসের। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন তাঁরা।কাটোয়ার কাশীপুর দাস ইনস্টিটিউশন স্কুলের সামনে একটি বাড়ির বারান্দায় কাউন্টার খুলে ফেলেন মনোজ, সোমনাথ ও গণেশ। পরীক্ষার্থীদের বলেন, ওই কাউন্টারে ব্যাগ ও জলের বোতল জমা রাখা যাবে। যতক্ষণ পরীক্ষা চলেছে, ততক্ষণে স্কুলের বাইরে পরীক্ষার্থীদের ব্যাগ পাহারা দিয়েছেন ওই তিন যুবক। এরজন্য পড়ুয়াদের কাছ থেকে পারিশ্রমিকও নেননি তাঁরা। সোমনাথ, মনোজ ও গণেশ জানিয়েছেন, শুধু প্রথম দিনই নয়, উচ্চমাধ্যমিকের সবকটি পরীক্ষার দিন বিনা পারিশ্রমিকে পরীক্ষার্থীদের ব্যাগ পাহারা দেবেন তাঁরা।

জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার কাশীরাম দাস ইনস্টিটিউশন স্কুলের সামনে ৮৩ জন পরীক্ষার্থীর ব্যাগ পাহারা দিয়েছেন মনোজরা। শপিং মলের কায়দায় ব্যাগ জমা দেওয়ার পর পড়ুয়াদের টোকেন দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা শেষে আবার সেই টোকেন দেখিয়ে ব্যাগ ফেরত নিয়ে গিয়েছে তারা। কাউকে টাকা দিতে হয়নি। তবে কেউ কেউ খুশি হয়ে চা-বিস্কুট খাওয়ার জন্য ওই তিন যুবককে টাকা দিয়ে গিয়েছেন।  

ছবি: জয়ন্ত দাস

[ গুজবের জেরে টান পড়েছে রুটি-রুজিতে, আতঙ্কে ভুগছেন ফেরিওয়ালারা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement