রাজা দাস ও দেবব্রত মণ্ডল: চিকিৎসার গাফিলতিতে শিশুমৃত্যুর অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ধুন্ধুমার। পরিস্থিতি সামাল দিতে যায় পুলিশ। ঊর্দিধারীদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়ান মৃত শিশুর পরিবারের লোকজন। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গাফিলতির অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে।
দীপ মালি নামে বছর চারেকের ওই শিশুটি দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি থানার তিওর মালিপাড়া এলাকার বাসিন্দা। শুক্রবার বিকেলে বাড়ির পাশে খেলা করছিল। সেই সময় তাকে সাপে কামড়ায়। কাঁদতে শুরু করে সে। এরপর পরিবারের লোকজনের বিষয়টি নজরে আসে। প্রথমে তাকে স্থানীয় কবিরাজের কাছে নিয়ে যায় বাবা-মা। পরে সেখান থেকে ওই শিশুকে বালুরঘাট সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়৷ তবে ততক্ষণে সব শেষ। শিশুকে মৃত বলে জানান চিকিৎসকরা।
শিশুর মৃত্যু সংবাদ তাঁর পরিবারের লোকজনকে দেওয়া হয়। এরপরই উত্তেজনা তৈরি হয়। হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন শিশুর পরিবারের লোকজনেরা। খবর পাওয়াত্রই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। সেই সময় পুলিশের সঙ্গে প্রথমে বচসা ও পরে ধাক্কাধাক্কিতে জড়িয়ে পড়েন মৃতের পরিবার পরিজন। শেষমেশ যদিও পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গাফিলতির অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে। বালুরঘাট থানার পুলিশও পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে।
এদিকে, প্লাস্টিক ব্যাগ নিয়ে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে যান সাপে কামড়ানো এক মহিলা। ক্যানিং মহকুমার ঘুঁটিয়ারী শরীফের বাসিন্দা তিনি। শুক্রবার রাতে প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন গৃহবধূ সাবিনা। সেই সময় তাঁর পায়ে সাপ কামড় দেয়। মোবাইলের টর্চ জ্বালতেই সাপটি আবারও কামড় দেওয়ার জন্য দৌড়ে আসে। রাস্তায় পড়ে থাকা পাথর ছুঁড়ে সাপটিকে মেরে ফেলেন তিনি। মৃত সাপটিকে প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে বাড়িতে নিয়ে আসেন। এরপর ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে যান তিনি। চিকিৎসকরা জানান, সাপটি সম্পূর্ণ বিষহীন। আপাতত সুস্থই রয়েছেন ওই মহিলা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.